জয়ন্ত সরকার, গঙ্গারামপুর: শনিবার নজরুল জয়ন্তী। বিদ্রোহী কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে গঙ্গারামপুরের (Gangarampur) বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কবির আবক্ষ মূর্তি। তবে এই মূর্তির ওপর কোনও ছাউনি নেই। শুক্রবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, মূর্তির আশপাশে আবর্জনার স্তূপে ভর্তি। সৌন্দর্য হারাচ্ছে বিদ্রোহী কবির এই ভাস্কর্য। আর তাতেই ক্ষোভ বাড়ছে শহরবাসীর মধ্যে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রায় দু’দশক আগে গঙ্গারামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শপিং প্লাজার সামনে একটি নজরুলমূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। মূর্তিটি মার্বেল পাথরে নির্মিত। তার ভিত ছিল গ্র্যানাইট পাথরের। তবে এই মূর্তির ওপরে কোনও ছাউনি নেই। নজরুলমূর্তির এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে শিক্ষক জয়ন্ত আচার্য বলেন, ‘পুরসভার তরফে মূর্তিটির ওপরে একটি ছাউনির ব্যবস্থা করলে খুব ভালো হয়। এছাড়া মূর্তিটির আশপাশের জায়গাটুকুও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।’
সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই মূর্তিটির যত্ন কমেছে। এমনিতেই গঙ্গারামপুর শহরে বিভিন্ন মনীষীর মূর্তি আছে হাতেগোনা দু-একটি। মূর্তিগুলি অত্যন্ত অবহেলায় সারাবছর পড়ে থাকে। এই পরিস্থিতি নিয়ে এবার সরব হয়েছেন শহরের সংস্কৃতিপ্রিয় বাসিন্দারা। বিদ্রোহী কবির মূর্তির মাথায় অনেক সময় পাখির বিষ্ঠা পড়ে থাকে। মূর্তিটির আশপাশের এলাকায় আবর্জনা ছড়িয়ে থাকে। তাছাড়া সাইকেল, মোটর সাইকেল এবং চার চাকার গাড়ি দাঁড় করানো থাকে সেই মূর্তিটি ঘিরে।
শহরের বাসিন্দা রনিতা দাস কুণ্ডু জানালেন, সংস্কৃতি জগতে কাজী নজরুল ইসলামের একটা বড় অবদান রয়েছে। শহরে একটা আবক্ষ নজরুলমূর্তি রয়েছে। এই মুহূর্তে নতুন কোনও নজরুলমূর্তি স্থাপন করতে না পারলেও এই মূর্তিটিকেই তো যত্ন করা যেতে পারে।’ পুরসভা থেকে যেমন বসন্ত উৎসব হয়, তেমন নজরুল জয়ন্তীতে শহরের বিভিন্ন নাচের এবং গানের স্কুলের শিল্পীদের নিয়ে যদি কোনও অনুষ্ঠান ওখানে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে একটা ভালো বার্তা পৌঁছাবে বলে তিনি মনে করেন।
এবিষয়ে গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্তকুমার দাস বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা ভাবনাচিন্তা করেছি। মূর্তিটির মাথার ওপরে একটি ছাতার মতো ছাউনির ব্যবস্থা করা হবে।’