গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুর: মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামী। আর সেই ধস্তাধস্তির ভিডিও ভাইরাল হওয়াকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে। বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই ভিডিওটি (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ) পোস্ট করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ভিডিওটি এক মাস আগের। প্রশ্ন উঠছে, এক মাসের পুরনো ভিডিও এই মুহূর্তে বিজেপির জেলা সভাপতির ফেসবুক থেকে কেন ছড়িয়ে দেওয়া হল? এই ভিডিও পুলিশ বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিউটি সরকারের স্বামী তথা ধস্তাধস্তিতে জড়ানো ওই তৃণমূল নেতা সঞ্জয় সরকার। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন, জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় সঞ্জয়ের পাশে দাঁড়ায়নি তার দল।
প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ঘটে বংশীহারী থানার বুনিয়াদপুর ট্রাফিক মোড়ের আগে বিশ্রামাগারের পাশে ৫১২নং জাতীয় সড়কের উপরে। জানা গেছে, গত ১৭ মে রাত দুটোর সময় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে স্পেশাল নাকা চেকিং চলছিল। সেইসময় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সঞ্জয় সরকার। সেই সময় রাস্তার পুলিশি ব্যারিকেডে ধাক্কা লাগে সঞ্জয় সরকারের গাড়ির। এরপরেই টহলরত পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন সঞ্জয় সরকার। ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, সঞ্জয় সরকার মদ্যপ অবস্থায় খালি গায়ে পুলিশের সঙ্গে অশালীন ভাষায় তর্ক করছেন। তখনই পুলিশের সঙ্গে একপ্রকার ধস্তাধস্তি করতেও দেখা যায় সঞ্জয়কে।
এই প্রসঙ্গে সঞ্জয় সরকার বলেন, “ওই দিন বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে ৫১২নং জাতীয় সড়কে হঠাৎ করে পুলিশ ব্যারিকেড ঠেলে দেয়। ব্রেক করতে আমার গাড়ির কাচ ভাঙে। পুলিশের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এ বিষয়ে পুলিশ আমাকে ডেকে পাঠায়নি। এক মাস পর পুলিশ এক বিরোধী দলনেতাকে সেই ভিডিও পাঠায়।”
এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ডিউটি সরকার জানান, “ভিডিওটি আমিও দেখেছি। আমার গাড়িটি আমার বাড়িতেই ছিল। কোনও কারণে হয়তো ও গাড়িটা নিয়ে বেরিয়েছিল। বোর্ডটা খুলে রাখতে হয়তো ভুলে গেছিল। এর বাইরে আমি কিছু বলতে চাই না। এটা বিরোধী দলের কোন চক্রান্ত হতে পারে। মদ্যপ অবস্থায় ও পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে কিনা সেটা পুলিশ তদন্ত করে বলতে পারবে, আমি বলতে পারবোনা।”