জয়ন্ত সরকার, গঙ্গারামপুর: স্বামী গত হয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। বর্তমানে বয়স ৬৩। ছেলে, বৌমা কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকেন। তাই একাকিত্ব কাটাতে বাড়ির সামনে তৈরি করেছেন বিভিন্ন ফল ও ফুলের বাগান। কথা হচ্ছে গঙ্গারামপুর (Gangarampur) পূর্ব হালদার পাড়ায় ফুটবল ক্লাবের পাশে বাসিন্দা উমা বিশ্বাস নামে এক বৃদ্ধার।
তবে শুধু একাকিত্ব কাটানো নয়।উমার অনেকদিন ধরে বাড়িতে বিভিন্ন ফল ও ফুলের বাগান করার নেশাও ছিল। তার মধ্যে বাড়ির সকলে বাইরে থাকায় একাকিত্ব গ্রাস করছিল উমাকে। তাই তিনি এখন এই কাজ করে তাঁর সময় কাটাচ্ছেন।
এলাকার এক বাসিন্দা রেবা বসাকের কথায়, ‘আমি শুনেছি তিনি বাড়িতে একটি ছোটখাটো বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর এমন উদ্যোগ শুনে খুব ভালো লেগেছে। আমার কাজের চাপে এখনও তাঁর বাগান দেখতে যাওয়া হয়নি। তবে সময় পেলে অবশ্যই যাব।’
উমার বাড়িতে শুধুই কী রয়েছে আনারস বাগান? রয়েছে আপেল সহ বিভিন্ন ফলের গাছ। এছাড়াও রয়েছে ২০ রকমের জবা সহ রকমারি ফুলের গাছ। উমার বাগান দেখে মুগ্ধ প্রতিবেশীরা। ইতিমধ্যে আনারস বাগান তৈরি করে শহরবাসীর বাহবাও কুড়োচ্ছেন তিনি।
উমা বলেন, ‘আমার ফল ও ফুলের বাগান করার ইচ্ছে অনেকদিনের। কিন্তু ছেলেদের পড়াশোনার পিছনে সময় দিতে গিয়ে এতদিন বাগান করা হয়নি। তবে এখন ওই শখ পূরণ করেছি।’ তাঁর সংযোজন, ‘এবছর আনারস চাষ করেছি। আমার বাগান দেখে ছেলে, বৌমা সহ প্রতিবেশীরাও খুশি। জীবনের বাকি সময়টা বাগান নিয়েই থাকতে চাই।’
মায়ের এমন কাজে খুশি উমার ছেলে সন্তু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘মা গাছে কোনও রাসায়নিক সার ব্যবহার করে না। মায়ের এমন কাজে আমি গর্বিত। মাকে আরও উৎসাহ দিই।’
এলাকার অপর এক বাসিন্দা সন্ধ্যা ঘোষ বলেন, ‘আমরা পুজোর জন্য উমার বাড়িতে জবা ফুল আনতে যাই। সেখানে ফুল ছাড়াও আরও অনেক ফলের গাছ দেখেছি। এবছর আনারসের গাছ দেখলাম।’