এম আনওয়ারউল হক, বৈষ্ণবনগর : শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। রমজানের আগেই ফলের বাজারে আগুন, কেজিতে বেড়েছে ৩০-১০০ টাকা। কয়েক বছর ধরেই নাগালের বাইরে ফলের দাম। শুক্রবার রোজার জন্য বাজারে বেরিয়ে গৃহস্থের মাথায় হাত। বুধবার আপেলের দাম ছিল ১৬০ এখন ২০০ টাকা। আঙ্গুর ৮০ টাকা থেকে ১২০, মুসাম্বি ৫০ টাকা থেকে ৮০, কিমিয়া গোল্ড প্রজাতির খেজুর ২০০ টাকা বেড়েছে, দাম ছিল ১৫০০ টাকা। একধাক্কায় সেটা ১৭০০ টাকা, পেঁপে ৬০-৭০ টাকা কিলো ছিল, তা ১৩০ টাকা। তরমুজের দাম কমেছে। ছিল ৫০ টাকা কিলো, সেটা ৩০ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে রোজা শুরু হতেই ফলের বাজারে উত্তাপ দেখা দিয়েছে। রোজার আগে বাজারের এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন রোজাদাররা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চঁাদ দেখার ওপর নির্ভর করে পয়লা মার্চ থেকে শুরু হবে রমজান মাস। এই মাসে সব শ্রেণি, বিশেষ করে রোজাদাররা তাদের সামর্থ্যমতো ইফতারে ফলের আয়োজন করেন।
দেশীয় ফলের মৌসম শুরু হবে মে মাস থেকে। এতে রোজার পুরো মাস আমদানি করা ফলের ওপর চাপ বাড়বে। আর এমন সময় ফলের ওপর শুল্ক বাড়ানোয় ইতোমধ্যে বাজারে দাম বেড়ে গেছে। রোজায় এই দাম ক্রেতার নাভিশ্বাস বাড়াবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
পাইকারি ফল বিক্রেতা জালালউদ্দিন বলেন, ‘সরকার ফলের ওপর জিএসটি বাড়িয়েছে। আমদানিকারকরা আমদানি পর্যায় থেকে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এর প্রভাবে আড়তে দাম বেড়ে গেছে।’ ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ ছোলা, বেগুনি, শসা ও লেবু। চাহিদা বিবেচনায় এই ৪টি জিনিসের দাম বিক্রেতারা ইচ্ছামতো বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ। এদিন বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও দ্বিগুণের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে লেবু।
রোজা শুরুর আগেই বাড়তি চাহিদা তৈরি হলেও এবার অনেকটাই স্থিতিশীল ছোলা, খেজুর, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ও চিনির দর। আবার বাজারে বাড়তি সরবরাহের কারণে ছোলা, চিনি সহ কয়েকটি ভোগ্যপণ্যের দাম এরই মধ্যে কমেছে। তবে এবারও রোজা ঘিরে বাড়তি মাংসের বাজার। এখনও কাটেনি ভোজ্য তেলের সংকট।
হঠাৎ দ্বিগুণ রোজার কয়েক পণ্যের দাম গতকাল বৈষ্ণবনগর কাঁচাবাজার, ১৮ মাইল, দৌলতপুর বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য মিলেছে। মানভেদে বেগুন কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হত। শসা কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে লেবুর।