ফালাকাটা: কখনও জটিল অপারেশন করে বাহবা কুড়িয়েছে ফালাকাটা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল, কখনও আবার রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাসপাতালে। এর মধ্যেও মাসে কয়েক হাজার রোগী আসেন হাসপাতালে। কেউ ডাক্তার দেখান, কেউ বিভিন্ন টেস্ট করান। হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসাজনিত এই সমস্ত তথ্যই অবশ্য ‘ডিজিটালি’ সংরক্ষণ করে রাখে কর্তৃপক্ষ। এর সুবাদেই এবার রাজ্যের সব সুপারস্পেশালিটিকে পেছনে ফেলে দিল ফালাকাটা। রাজ্যের সুপারস্পেশালিটিগুলির মধ্যে ডিজিটাইজ করার সুবাদে প্রথম হল ফালাকাটা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশি হাসপাতালের সঙ্গে জড়িত সবাই।
ফালাকাটা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার শুভাশিস শী বলেন, ‘ডিজিটাল হেলথ মিশন স্কিমে আমরা হাসপাতালের বেশিরভাগ পরিষেবাই ১০০ শতাংশ ডিজিটাইজ করেছি। এই মুহূর্তে রাজ্যের ৪২টি সুপারস্পেশালিটির মধ্যে আমরাই প্রথম এমন কাজ করতে পেরেছি। আগামী দিনে প্রেসক্রিপশন সহ অন্য পরিষেবাগুলিও ডিজিটাইজ করা হবে। সে কাজও শুরু হয়েছে।’
ফালাকাটা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে রোগীর ভর্তি-ছুটি, টিকিট রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে সবধরনের ল্যাবের পরীক্ষা সহ আরও বেশকিছু কাজ প্রায় ১০০ শতাংশ ডিজিটাল করা হয়েছে। এছাড়াও গত সোমবার চালু হয়েছে কিউআর কোডের মাধ্যমে আউটডোরের টিকিট কাটা। গত তিনদিনে কিউআর কোড ব্যবহার করে প্রায় ৬০০ রোগী আউটডোরের টিকিট কেটেছেন। এই সংখ্যাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১০০ শতাংশ অনলাইন করতে চাইছে। পরবর্তীতে ই-প্রেসক্রিপশনও চালু হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজ্যের ইন্টিগ্রেটেড হেলথ ম্যানেজমেন্ট পোর্টালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরাসরি সব তথ্য আপলোড করে। রোজ ২৫০০ থেকে ৩০০০ তথ্য পোর্টালে আপলোড করা হয়। এই সব তথ্যের ভিত্তিতেই রাজ্যের সব সুপারস্পেশালিটির মধ্যে এখন র্যাংকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ফালাকাটা।
এর আগে রাজ্যের ৪২টি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের মধ্যে কেন্দ্রের স্বীকৃতি পেয়েছিল ফালাকাটা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল। গুণগত মানে রাজ্যের সব সুপারস্পেশালিটিকে টেক্কা দিয়ে ফালাকাটা দেশের ‘ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স স্ট্যান্ডার্ড’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল। ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল ফালাকাটা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল। কেন্দ্রীয় স্বীকৃতির এই ধারা বজায় রাখার অন্যতম শর্ত হল হাসপাতালের সব ডিজিটাইজ করা। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ সব ডিজিটাইজ করে রাজ্যসেরার স্বীকৃতি পেল। এতে খুশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে ফালাকাটার সাধারণ মানুষ।