EXCLUSIVE: ‘সংবাদ প্রতিদিনে’র খবরে সিলমোহর, হংকং ম্যাচ হেরে পদত্যাগ মানোলোর

EXCLUSIVE: ‘সংবাদ প্রতিদিনে’র খবরে সিলমোহর, হংকং ম্যাচ হেরে পদত্যাগ মানোলোর

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


দুলাল দে: জিতুক, হারুক। জাতীয় মানোলো কোচ মার্কুয়েজ পদত্যাগ করবেন হংকং ম্যাচের পর। সংবাদ প্রতিদিনে এই এক্সক্লুসিভ খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৫ মে। আর সেই খবরে সত্যি সত্যিই সরকারিভাবে সিলমোহর পড়ল হংকং ম্যাচের পর। ভারতীয় দল থেকে ফিফার ক্রম তালিকায় ২৬তম পিছনে ধাপ থাকা দুর্বল হংকংকেও হারাতে না পেরে ম্যাচের পর রাতেই তাঁর পদত্যাগপত্র ফেডারেশনে মেল করে দেন মানোলো মার্কুয়েজ। ফেডারেশন ঠিক করেছে, বুধবার বিকেলের দিকে জাতীয় কোচের এই পদত্যাগ ঘোষণা করবে সরকারিভাবে। এরকমই আপাতত ভাবনা।

মানোলো পদত্যাগ করেছেন মঙ্গলবার রাতেই হংকং ম্যাচের পর। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, মঙ্গলবার রাতে পদত্যাগ করলে, ফেডারেশন কর্তারা তাহলে কেন রাতেই তা ঘোষণা না করে পরে জাতীয় কোচের পদত্যাগ ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছেন? এর পিছনে একটাই কারণ, সমালোচনার ভয়। এখনও ইগর স্টিমাচের ভূত দেখছেন ফেডারেশন কর্তারা।

এর আগে জাতীয় কোচের পদ থেকে সরে গিয়ে ভারতীয় ফুটবলের বিপর্যয় নিয়ে ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে এক হাত নিয়েছিলেন ইগর স্টিমাচ। ভারতীয় ফুটবলের ব্যর্থতার পিছনে কল্যাণ চৌবেকে রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

যা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় ফুটবলে। কিছুদিন আগে মানোলো মার্কুয়েজও শুরু করে দিয়েছিলেন সমালোচনা। এদিনের হারের পর ভারতীয় ফুটবল কর্তারা রীতিমতো চাপে। সুনীল ছেত্রীকে ফেরানো থেকে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের আরও নানাবিধ ব্যাপার নিয়ে মানোলো যদি ফের বোমা ফাটাতে শুরু করেন, তখন বিপদে পড়ে যাবেন এমনিতেই কোণঠাসা থাকা ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন কর্তারা। যে কারণে, এদিন ম্যাচের পর মানোলোর সঙ্গে ফেডারেশন কর্তারা ঠিক করেছেন, তাঁকে চুক্তি ভেঙে রিলিজ দিয়ে দেওয়া হবে, যদি বুধবার সকালে ফেডারেশনের দেওয়া চুক্তিপত্রে সই করে অঙ্গীকার করেন, পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার পর ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কোনও বিরূপ মন্তব্য করবেন না। তাহলেই তাঁর পদত্যাগ করলেন মানোলো মার্কুয়েজ।

পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে চুক্তি ভেঙে রিলিজ করে দেওয়া হবে। সেই মতো বুধবার সকালে কোচের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ফেডারেশন কর্তারা। তিনি চুক্তিপত্রে সই করলে তারপরেই মানোলোকে আইএসএলের দল এফসি গোয়ার জন্য রিলিজ দেওয়া হবে। বুধবারই হংকং-দিল্লি হয়ে গোয়া চলে যাচ্ছেন তিনি। ইগর স্টিমাচ জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়াতে এফসি গোয়ার কোচ মানোলো মার্কুয়েজকে নিয়ে আসা হয় জাতীয় দলে। প্রথম বছরে চুক্তি ছিল ম্যাচ প্রতি যে শিবির হবে, সেই অনুযায়ী টাকা দেওয়া হবে। আজ পর্যন্ত কোনও জাতীয় কোচের সঙ্গে এরকমভাবে আগে চুক্তি হয়নি। শর্ত ছিল, দ্বিতীয় বছর থেকে টানা এক বছরের জন্য চুক্তি করা হবে। সেভাবেই এফসি গোয়া থেকে রিলিজ নিয়ে নেন তিনি।

পুরো মরশুমের জন্য ফেডারেশনের কোচ হয়েই মানোলে বুঝে যান, এই দল নিয়ে কিছু হবে না। যেরকম ফেডারেশনের তরফে কোনও সাহায্য আসে না, সেরকম জাতীয় দলে ঠিকঠাক ফুটবলারও নেই। ফেডারেশন কর্তারা কোচকে পরামর্শ দেন, সুনীল ছেত্রীকে অবসর ভাঙিয়ে ফিরিয়ে আনার জন্য। সেই মতো কোচ চাইছেন বলে ফিরিয়ে আনা হয় সুনীলকে। আর জাঁকজমক করে অবসর নেওয়া সুনীলও ফেডারেশনের এই ফাঁদে পা দিয়ে ফের অবসর ভেঙে ফিরে আসেন। তবে কিছুদিন গেলেই মানোলো এবং সুনীল দু’জনেই বুঝতে পারেন, বড় ভুল করে ফেলেছেন তাঁরা। এই জাতীয় দল নিয়ে ব্যর্থ হলে, পরে আইএসএলের কোনও দল তাঁকে নেবে না। তার উপর সব দলই এখন কোচেদের সঙ্গে দীর্ঘ চুক্তি করে। তার উপর এফসি গোয়া এই মরশুমে এএফসি খেলবে। ফলে জাতীয় দল ছাড়লেও এফসি গোয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক মাইলেজ পাবেন তিনি। এই ভাবনা থেকেই এফসি গোয়ার কর্তাদের সঙ্গে ফের আলোচনা শুরু করে ১ জুন থেকে একটা চুক্তিপত্রে সই করে বসে আছেন। ভারতীয় ফুটবল কর্তাদের মৌখিকভাবে জানিয়ে দেন, হংকং ম্যাচের পর তিনি আর জাতীয় দলের কোচ থাকবেন না। যে সময় তিনি ফেডারেশনকে জানিয়েছিলেন, সেই সময় নতুন করে কোচ এনে হংকং ম্যাচ খেলা সমস্যা হয়ে যেত। সেই কারণে মানোলোর কোচিংয়েই হংকং ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে ঠিক হয়েছে, পদত্যাগের পর ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কিছু বলবেন না, এই মর্মে চুক্তিবদ্ধ হলে, তারপর ফেডারেশন থেকে রিলিজ দিয়ে তাঁর পদত্যাগ সরকারিভাবে ঘোষণা করা হবে বুধবার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *