উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ডিম দিয়ে কত রকমই না রান্না হয়। মূল উপকরণকে কাটার, কোটার, ম্যারিনেট করার বিশেষ ঝুটঝামেলা নেই বলে রান্নার সব রকম প্রণালীই জিমের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। এবং অদ্ভুত ব্যাপার হল, সেই সব রকম প্রণালীতেই ডিম খেতে ভালও লেগেছে। ডালনা, কষা, ঝাল, আলু দিয়ে ঝোল তো রয়েছেই। ডিম দিয়ে মুইঠ্যা, কোফতা, কোর্মা, তেল-ঝাল কোনও কিছুই বাদ রাখেননি রাঁধুনিরা। কিন্তু আগেকার দিনের একটি চটজলদি খাওয়ার সহজ এবং ঘরোয়া রান্নার প্রণালী বাটিচচ্চড়ি কি কখনও ডিম দিয়ে বানিয়ে দেখেছেন? ডিম দিয়ে তৈরি বাটিচচ্চড়ি এক বার খেলে আর আলসে দুপুরে অন্য কিছু খেতে ইচ্ছে করবে না। যেমন সুস্বাদু, তেমনই সহজ ওই রান্না বানানোর প্রণালী শিখে নিন।
উপকরণ: ৪টি সেদ্ধ ডিম, ২টি মাঝারি মাপের আলু, ২টি মাঝারি মাপের পেঁয়াজ, ৪-৫টি কাঁচালংকা, ১টি বড় টম্যাটো, ২ গাঁট আদা কোরানো, ৪ কোয়া রসুন কোরানো। ৩-৪ টেবিল চামচ সর্ষের তেল, ১ চা-চামচ জিরেগুঁড়ো, ১/২ চা-চামচ ধনেগুঁড়ো, ১/২ চা-চামচ হলুদগুঁড়ো, ১/২ চা-চামচ কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো,স্বাদমতো নুন,সামান্য চিনি, এক চা-চামচ পাতিলেবুর রস।
পদ্ধতি: লম্বাটে আলুভাজার মতো করে আলু কেটে নিন। পেঁয়াজ, টম্যাটোও লম্বাটে করে কাটা হবে। এ বার একটি বড় বাটি বা কড়াইয়ে ডিম ছাড়া বাকি সমস্ত উপকরণ দিয়ে হাতে করে ভাল করে মেখে নিন। তেল পুরোটা দেবেন না। এক টেবিল চামচ সরিয়ে রাখুন। এবার এই পাত্রে আন্দাজমতো (যতটা ঝোল রাখতে চাইছেন তা বুঝে) জল দিয় আরও এক বার হাতে করে মেখে নিন। ডিমগুলোকে অর্ধেক করে কেটে কুসুম উপরের দিকে রেখে মিশ্রণের উপরে সাজিয়ে দিন। চামচে করে সামান্য ঝোল উপরে ছড়িয়ে দিতে পারেন। এ বার সরিয়ে রাখা এক টেবিল চামচ কাঁচা সর্ষের তেল উপরে ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে আঁচে বসান। প্রথমে বেশি আঁচে চাপা দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটে গেলে আঁচ মাঝারি করে আরও ৩-৪ মিনিট চাপা দিয়ে রান্না হতে দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আলু সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। না হলে আরও কিছু ক্ষণ চাপা দিয়ে রান্না করুন। আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে চাপা খুলে আরও কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে নিন। ঝোল কতটা গাঢ় রাখতে চান, তার উপর নির্ভর করবে কত ক্ষণ ফোটাবেন। পছন্দমতো ঝোল কমিয়ে নিয়ে আঁচ বন্ধ করুন। কিছু ক্ষণ চাপা দিয়ে রেখে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।