অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা : আমি এই দলটায় নতুন। কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতই সবটা দেখুক। আমি ওর সঙ্গে ঠিক মিশে যাব।বক্তার নাম ডোয়েন ব্রাভো। কলকাতা নাইট রাইডার্সের নয়া মেন্টর। চেহারাটা এখনও আগের মতোই ছিপছিপে। মুখের হাসিটাও সেই আগের মতোই। দেখে মনেই হবে না বয়স এখন ৪১। বিকেলে ইডেন গার্ডেন্সের সামনে নাইটদের টিম বাস থেকে প্রথমেই নেমে এলেন তিনি। গায়ে কেকেআরের বেগুনি জার্সি। জার্সির পিছনে লেখা, মিস্টার চ্যাম্পিয়ন।
‘চ্যাম্পিয়ন’ শব্দটা তাঁর নামের সঙ্গে অনেকদিন আগেই জুড়ে গিয়েছে। ব্রাভোর সেই চ্যাম্পিয়ন তকমা আসন্ন মরশুমে কেকেআরের জন্য সাফল্য বয়ে আনবে কিনা, সময় তার জবাব দেবে। তার আগে প্রথম দিনের অনুশীলনেই নাইট শিবিরের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন ব্রাভো। গৌতম গম্ভীরের সাফল্যের জুতোয় পা গলানোর চ্যালেঞ্জটাও নিয়ে ফেলেছেন প্রবলভাবে। তিনি বাকিদের চেয়ে যে আলাদা, প্রথম দিনেই বুঝিয়ে দিয়েছেন টিমম্যান মেন্টর। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও নাইটদের ফ্র্যাঞ্চাইজি দল রয়েছে। সেই দলের সঙ্গে বহু বছর জড়িয়ে ব্রাভো। যেখানে চারবারের মধ্যে মোট তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। আর প্রতিবারই দলের সাফল্যের পর চ্যাম্পিয়ন সিরিজের একটি করে গান বেঁধেছিলেন তিনি। এবার কি ব্রাভো কেকেআরের জন্য কোনও গান বাঁধবেন? জবাব কারও জানা নেই। তবে সূত্রের খবর, এমন সম্ভাবনা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, ব্রাভোর গান মানেই সংশ্লিষ্ট দল চ্যাম্পিয়ন।
ব্রাভো শেষ পর্যন্ত কীভাবে নাইটদের সাফল্যের মন্ত্র দেবেন, সময় তার জবাব দেবে। কিন্তু তার আগে বড় দাদার মতো ভূমিকা নিয়ে কেকেআরের সংসারে হাজির হয়েছেন নয়া মেন্টর। আজ বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে কেকেআরের ঘণ্টা তিনেকের অনুশীলনের আসরে নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। কখনও মাঠের ধারে গোল করে চক্কর দেওয়ার মাঝে অনুশীলন খুঁটিয়ে দেখেছেন। কখনও কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ও অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। হয়তো তাঁর মতো করে বুঝে নিতে চেয়েছেন সবকিছু। কেকেআরের নেটে বল হাতেও সামান্য সময়ের জন্য দেখা গিয়েছে তাঁকে। এহেন মেন্টর ব্রাভোর চ্যাম্পিয়ন মন্ত্র কেকেআরকে কোন পথে নিয়ে যায়, সেটাই দেখার।