অভিষেক ঘোষ, মালবাজার: মালবাজার শহরের বাটাইগোল বাজার সংলগ্ন রাধাগোবিন্দ মন্দিরে রাধাকৃষ্ণ ছাড়াও দেবীপক্ষে দুর্গার আরাধনা হয় (Durga Puja 2025)। সর্বজনীন পুজো হলেও অন্যান্য ক্লাবের পুজোর থেকে বেশ আলাদা এই পুজো। যেখানে শহরের অধিকাংশ ক্লাবে প্রতিমা আনা হয় পঞ্চমী বা ষষ্ঠীতে, সেখানে রাধাগোবিন্দ মন্দিরে সপরিবারে দেবী আসেন চতুর্থীর দিন। পঞ্চমী থেকেই শুরু হয় দেবীর পুজো। পঞ্চমীতে হয় দেবীর অধিবাস ও কল্পারম্ভ। ষষ্ঠীতে হয় বোধন।
রাধাগোবিন্দ সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির ২১তম বর্ষে পুজোর থিম শিব ঠাকুরের দেশে। এই থিমের উদ্ভাবক পুজো কমিটির সদস্যা বিপাশা মিত্র। তাদের বাজেট ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। দুর্গা প্রতিমায় থাকবে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। প্রতিমা তৈরি করছেন মালবাজারের শিল্পী লক্ষ্মণ পাল। আলোকসজ্জার কাজ করবেন ময়নাগুড়ির শিল্পীরা। পুজোর তিনদিন বিভিন্ন খেলা ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে স্থানীয় তরুণী অঙ্কিতা চন্দ জানান, থিমের পাশাপাশি পুজোর নিয়মনিষ্ঠাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় রাধাগোবিন্দ মন্দিরে।
পুজো কমিটির সভাপতি শংকরী পালের কথায়, শহরের অন্যতম কম বাজেটের সেরা থিমের পুজো হয় এখানে। অষ্টমীতে হয় ভোগ প্রসাদ বিতরণ। পুজোর চারদিন বিনামূল্যে আইনি পরিষেবা দেওয়া হয় এখানে বলে জানান সম্পাদক দীপঙ্কর সরকার। মহকুমা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের তরফে বিগত চার বছর থেকে লিগ্যাল সেলের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। কমিটির সদস্যা দেবশ্রী রায়ের কথায়, ‘পুজোয় ঘুরতে এসে অনেকেই তাঁদের সমস্যার কথা আমাদের জানান। সেইসব বিবরণ সংগ্রহ করে পরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।’ বিনামূল্যে আইনি পরিষেবার এই চিন্তাভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মালবাজারের আইনজীবী অর্ক সরকার। এছাড়া সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, ডেঙ্গি প্রতিরোধ সহ অন্যান্য সরকারি সচেতনতামূলক প্রচার চলবে।