কৌশিক দাস, ক্রান্তি: ক্রান্তি ব্লকের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী পল্লি উন্নয়ন সংঘের পুজো এবার ৫২তম বর্ষে পা দিল (Durga Puja 2025)। ক্রান্তির ধনতলার এই পুজো ব্লকের অন্যতম আকর্ষণ। তাদের পুজোর বাজেট প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। কয়েকবছর ধরে তারা বিগ বাজেটের পুজো করে আসছে। এবছর তাদের পুজোর থিম সাম্প্রদায়িক মেলবন্ধন। উত্তর ভারতের একটি মন্দিরের আদলে প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে। পুজো কমিটির সভাপতি বরেন্দ্রনাথ রায় ও কানু হাজরা জানান, আমাদের ক্লাবের পুজো ক্রান্তি ব্লকের মানুষের আবেগ। এখন ক্রান্তির বাইরে যেমন মালবাজার, ময়নাগুড়ি ও জলপাইগুড়ি থেকেও আমাদের প্যান্ডেলে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন, যা আমাদের উৎসাহ জোগাচ্ছে। পুজোর আগের কয়েকটা মাস ক্লাবের প্রতিটি সদস্যর রাতদিন পরিশ্রম ও সহযোগিতা এবং গ্রামবাসীর ভালোবাসায় এত বড় পুজো করা সম্ভব হয়।
পুজোর আগে আয়োজনে কর্মকর্তারা কোনও খামতি রাখতে চান না। পল্লি উন্নয়ন সংঘের অন্যতম আকর্ষণ স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পী সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর ফলে এলাকায় সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে উঠছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে পুজোর দিনগুলিতে সন্ধ্যা থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা, এলাকার দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ করা হয়। সকলকে মায়ের ভোগ দেওয়া হয়। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ কৃষ্ণপদ মণ্ডলের কথায়, ‘এবার আমাদের পুজোর থিম সাম্প্রদায়িক মেলবন্ধন। অনেক মতাদর্শ নিয়ে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ গঠিত। বহুত্ববাদী কাঠামোকে অক্ষুণ্ণ রাখা, সৌভ্রাতৃত্ববোধ ফিরিয়ে আনা ইত্যাদি বিষয়গুলিকে থিমে ফুটিয়ে তোলা হবে।’
পুজো উদ্যোক্তাদের আশা, চলতি বছর পল্লি উন্নয়ন সংঘের পুজো ক্রান্তি ব্লকের সেরা পুজো হয়ে উঠবে। সেই লক্ষ্যে এখন পঞ্চমী রায়, ননী হাজরা, টুম্পা কর্মকার ও কাঞ্চনবালা রায়রা চূড়ান্ত ব্যস্ত।