উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ডার্বিতে মোহনবাগানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল ইস্টবেঙ্গলের। ডুরান্ড জয়ের স্বপ্ন দেখছিল লাল-হলুদ সমর্থকরা। সেই স্বপ্নে জল ঢেলে দিল ডায়মন্ড হারবার এফসি। ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে প্রথম বার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব। এদিন ২-১ ব্যবধানে জিতে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে চলে গেল এই নতুন দল। শনিবার ফাইনালে ডায়মন্ড হারবারের প্রতিপক্ষ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড।
সেমিফাইনালের শুরু থেকেই ডায়মন্ড হারবারের রক্ষণে আক্রমণ শানাতে শুরু করে অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। ৪ মিনিটে প্রথম আক্রমণ শানায় ইস্টবেঙ্গল। ডায়মন্ড ডিফেন্স সজাগ থাকায় গোল হয়নি। ৮ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়ে যায় কিবু ভিকুনার দলও। হালিচরণ নার্জারির শট কোনও মতে রুখে দেন প্রভসুখান সিং গিল। ১৫ মিনিটে বল তিন কাঠির মধ্যে রাখতে পারেননি মিগুয়েল। ১৮ মিনিট জবি জাস্টিন অনায়াসেই এগিয়ে দিতে পারতেন ডায়মন্ড হারবারকে। ২১ মিনিটে আনোয়ার আলির শট রুখে দেন ডায়মন্ড গোলকিপার মিরশাদ মিচু। প্রথমার্ধে সমানে সমানে লড়াউ চালাতে থাকে দুই দলই। খেলার ২৫ মিনিটের মাথায় ডায়মন্ড হারবার এফসি প্রথম গোলের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে ব্যর্থ হন জবি জাস্টিন। অনবদ্য পাস পেয়েও ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন তিনি। বিরতির ঠিক আগে মহেশের আক্রমণ বাঁচান ডায়মন্ড গোলকিপার। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়।
দ্বিতীয়ার্ধে নুঙ্গা ও এডমুন্ডকে তুলে নামানো হয় প্রভাত লাকরা ও জিকসন সিংকে। একের পর এক গোল মিস করতে থাকেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ৬৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত শট নেন জিকশন সিং। আটকে দেন ডায়মন্ড গোলকিপার। ফিরতি বলে আবারও শট নিয়েছিলেন তিনি। আবার সেভ করেন মিরশাদ।
খেলার ৬৫ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করে ডায়মন্ড হারবারকে এগিয়ে দেন মিকেল। দুর্দান্ত ব্যাকভলিতে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। কিন্তু এই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ডায়মন্ডের। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই গোল শোধ করে ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠ থেকে নেওয়া শটে বিশ্বমানের গোল করে লাল-হলুদকে সমতায় ফেরান আনোয়ার আলি। ৭২ মিনিটে সল ক্রেসপোর জায়গায় রশিদকে মাঠে নামায় ব্রুজো। এদিন ভারতে ফিরেই সেমিফাইনালে নেমে পড়লেন তিনি। ৮৩ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে বল লাল-হলুদের জালে জড়িয়ে দেব জবি জাস্টিনের। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ডায়মন্ড হারবার এফসি। এরপর আর সমতা ফেরাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এদিন মাঠে অজস্র গোল মিস করেছেন ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা। অপরদিকে অসংখ্য গোল বাঁচিয়ে নায়ক বনে যান ডায়মন্ড গোলকিপার মিরশাদ মিচু। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন স্ট্রাইকারের এই গোলই লাল-হলুদকে ছিটকে দিল ডুরান্ড কাপ থেকে।