উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার শুল্ক নীতি নিয়ে তাঁর মনোযোগ ভারত থেকে সরিয়ে চিনের দিকে ঘুরিয়েছেন। এতদিন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য ভারতকে নিয়মিত আক্রমণ এবং ৫০% শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেও এখন তিনি টার্গেট করেছেন বেইজিংকে। ট্রাম্প তাঁর সাম্প্রতিক ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ পোস্টে ন্যাটো দেশগুলোকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে এবং মস্কোর উপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বলেছেন। এর পাশাপাশি, তিনি চিনের ওপর ৫০% থেকে ১০০% শুল্ক আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্পের দাবি, চিন রাশিয়ার উপর “শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ” রাখে এবং এই বিপুল শুল্ক আরোপ সেই নিয়ন্ত্রণকে ভেঙে দেবে।
বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান, ট্রাম্পের এই কৌশলগত পরিবর্তন মূলত বেশ কয়েকটি কারণে ঘটেছে। প্রথমত, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উষ্ণ সম্পর্ক ওয়াশিংটনকে উদ্বিগ্ন করেছে।
দ্বিতীয়ত, দেশের অভ্যন্তরেও ট্রাম্প চাপের মুখে পড়েছেন। তাঁর দলের সদস্য এবং রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালি (Nikki Haley) সহ অনেকেই ভারতের সঙ্গে দুই দশকের সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য তাঁর সমালোচনা করেছেন। এতে ভারতীয়-আমেরিকান ভোটারদের সমর্থন হারানোর ঝুঁকিও রয়েছে, যা ট্রাম্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই নতুন কৌশলের দ্বারা, যুক্তরাষ্ট্র এখন ভারতের অবস্থানকে কার্যত স্বীকার করছে এবং বেইজিংকে টার্গেট করে ভারত-রাশিয়া-চিন জোটকে দুর্বল করতে চাইছে।
এই আবহেই গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে “একজন মহান প্রধানমন্ত্রী” এবং “প্রিয় বন্ধু” বলে সম্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদিও দ্রুত এর প্রত্যুত্তর দেন এবং আমেরিকাকে “ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং স্বাভাবিক অংশীদার” হিসেবে বর্ণনা করে জানান যে, দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনার মাধ্যমে খুব শীঘ্রই এই অংশীদারিত্বের “অফুরন্ত সম্ভাবনা”-র নতুন পথ খুলে যাবে।