উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিয়েছে ইরানও। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও হুমকির কাছেই মাথা নত করবে না। ইরান আত্মসমর্পণ করবে না। ইরাণের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই জানিয়ে দেন, ইরানি জাতি কখনও হুমকির কাছে মাথানত করে না। আর এরপরেই পালটা বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী সপ্তাহে ইরানে বড় কিছু হতে যাচ্ছে! ‘কেউ জানে না আমি কি করতে যাচ্ছি, কি করতে পারি’।
ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ করতে বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে ভাষণ দেন ইরানের এই সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই। ভাষণে ইজরায়েলকে ভুলের জন্য কঠিন শাস্তি পেতে হবে বলেও হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের হুমকির পরেই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করে দেন। খামেনেইয়ের জবাবের পরেই বিভিন্ন মহলে ধারণা তৈরি হয় যে, এ বার হয়তো ট্রাম্পের ‘ধৈর্যের বাঁধ’ ভাঙবে! ঠিক তাই। খামেনেইয়ের এই ঘোষণার পরই কড়া ভাষায় জবাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের জবাব, ‘‘করতেও পারি, আবার না-ও করত পারি। কেউ জানে না আমি কী করব।’’ ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, ইরান হোয়াইট হাউসে আলোচনার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে। ইরানি কর্মকর্তারা আলোচনার জন্য যোগাযোগ করেছে, এমনকি হোয়াইট হাউসে বৈঠকের আগ্রহও জানিয়েছে। তবে তিনি বলেন, “এখন এসব বলার জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে।”
এমন অবস্থায় হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমার ধৈর্য ফুরিয়ে এসেছে,” যদিও তিনি এখনই স্পষ্ট করে বলেননি, ইজরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইরানে হামলা চালাবেন কিনা। তিনি বলেন, “আমি (হামলা) করতে পারি, আবার নাও করতে পারি। কেউ জানে না আমি কী করব।” তিনি বলেন, “নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ— মানে, আমি আর সহ্য করতে পারছি না, তাহলে ওদের জন্য শুভকামনা।”