উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : আগামী দিনে ইরানে আরও ভয়ানক হামলা চালাতে পারে আমেরিকা, হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এমনই জানালেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার ইজরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের ফোরডো, নাতান্জ ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনা। এবার আমেরিকার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ওই মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ইরানের যে তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলি সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল। তবে ইরানের আরও অনেক জায়গা আছে, যা আমেরিকার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। আয়াতুল্লা খামেনেইয়ের দেশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ইরানকে শান্তিস্থাপন করতেই হবে, না হলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটবে। গত আট দিনে আমরা যে বিপর্যয় দেখেছি, তার চেয়ে আরও অনেক বড় কিছু হবে। মনে রাখবেন, আরও অনেক টার্গেট বাকি রয়েছে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সংযোজন, ‘আজ যে হামলা হয়েছে, সেগুলি সবচেয়ে কঠিন এবং প্রাণঘাতী ছিল। কিন্তু ইরান যদি দ্রুত শান্তিস্থাপন না করে তাহলে আমরা অন্য টার্গেটেও নির্ভুল হামলা চালাব।’
ইরানে কেন হামলা চালানো হল? তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পরমাণু শক্তিধর হয়ে ওঠার চেষ্টা ও তাদের পরীক্ষাগারকে একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া। ইরানের কারণে বিশ্বে যে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা বন্ধ করতে এই হামলা। মার্কিন সেনা দারুণ কাজ করেছে বলেও জাতির উদ্দেশে ভাষণে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে, ইরানে আমেরিকার হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, যেভাবে আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করেছে তাতে তিনি শঙ্কিত। এই সংঘাত এবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তা পশ্চিম এশিয়া এবং সারা বিশ্বের জন্য ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।