উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: নাটকের যবনিকা পতন। অবশেষে সামনে এল সিঙ্গুরের নার্স দিপালী জানার (Dipali Jana) মৃত্যুর প্রকৃত কারণ! শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু হয়েছে দিপালীর, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনটাই জানাল কল্যাণী এইমস। এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই বিরোধী শিবিরকে ‘নাকখত দিয়ে ক্ষমা চাইতে’ বললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ।
গত বুধবার সিঙ্গুরের নার্সিংহোম থেকে উদ্ধার হয়েছিল দীপালির জানার ঝুলন্ত দেহ। মৃত্যুর ঠিক দু’দিন আগেই নার্সের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন পরিবার। তাঁদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্ত নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবি করে মৃতার পরিবার। শেষমেশ গত ১৬ অগাস্ট কল্যাণী এইমসে চারজন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয়। পাশাপাশি পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি হয়। এদিন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করে কল্যাণী এইমস। রিপোর্ট অনুযায়ী নার্সের মৃত্যু হয়েছে গলায় ফাঁস লাগিয়েই। এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (TMC Chief Kunal Ghosh)। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘যারা এই মৃত্যু নিয়ে শকুনের মতো রাজনীতি করেছিল, তাদের এখন নাকখত দিয়ে ক্ষমা চাওয়াই উচিত। আমরা তো শুরুতেই বলেছিলাম পুলিশ ও প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। যখন বলা হল কেন্দ্রীয় হাসপাতালেই ময়নাতদন্ত হোক, তখনও আমরা রাজি হয়েছিলাম।’
এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘মৃত্যু যেকোনও কারণেই হোক, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু বিজেপি (BJP) ও সিপিএম (CPM) যেভাবে প্রকাশ্যে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল, তা নিন্দনীয়। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালের রিপোর্টেই প্রমাণিত হয়ে গেল কারা মিথ্যেবাদী। যারা মৃতদেহ নিয়েও রাজনীতি করতে পারে, তারা কতটা নীচে নামতে পারে, তা এবার জনগণের বোঝা উচিত।’