সপ্তর্ষি সরকার, ধূপগুড়ি: টেলিমেডিসিনে জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে সেরা ধূপগুড়ি পুরসভা (Dhupguri)। জলপাইগুড়ি পুরসভার দুটি নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যখন চলতি বছর অগাস্ট মাসে টেলিমেডিসিন পরিষেবা পেয়েছেন যথাক্রমে ১৫৫ ও ২১৬ জন, সেখানে শুধু ধূপগুড়ি পুরসভার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই ৩০২ জন রোগী পরিষেবা পেয়েছেন। দৈনিক হিসেবে সংখ্যাটা ১২ জনেরও বেশি। আর এই সাফল্যে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের সমস্ত কৃতিত্ব দিয়েছেন পুরকর্তারা। স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির লক্ষ্যে ধূপগুড়ি শহরে আরও একটি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে। সঙ্গে টেলিমেডিসিন পরিষেবার দিকেও বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে।
জেলার চারটি পুরসভার মধ্যে নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে তিনটি। এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ি পুরসভায় দুটি এবং ধূপগুড়ি পুর এলাকায় একটি নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে৷ শহরে পঞ্চাশ হাজার জন অন্তর একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকার কথা। ধূপগুড়ি শহরে জনসংখ্যার নিরিখে আরও অন্তত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করা জরুরি বলে মত পুরকর্তাদের৷ তবেই টেলিমেডিসিন সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও ছড়িয়ে দেওয়া যাবে বলে জানান ধূপগুড়ি পুর প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিং। তিনি বলেন, ‘নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে রোগীদের অত্যাধুনিক টেলিমেডিসিন পরিষেবা সফলভাবে রূপায়ণের সমস্ত কৃতিত্ব স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের৷ শুধুমাত্র পরিষেবার ব্যবস্থা করে দেওয়ার দ্বায়িত্বটুকুই পুরসভার। আমরা সেটুকুই করি।’
সবমিলিয়ে, ধূপগুড়িতে একটি নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়াও রয়েছে দুটি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পাঁচটি সাব-সেন্টার। রয়েছেন চারজন মেডিকেল অফিসার। টেলিমেডিসিন পরিষেবা প্রসঙ্গে পুরসভার মেডিকেল অফিসার ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই পরিষেবায় চিকিৎসাকর্মীরা রোগীর সঙ্গে অনলাইনে চিকিৎসকের যোগাযোগ করিয়ে দেন। ফলে রোগীরা পরামর্শ ও ওষুধ পেয়ে যান।’
টেলিমেডিসিন পরিষেবা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নীলোৎপল সেন। তিনি বলেন, ‘বাড়ির কাছে চিকিৎসক ও ওষুধ পাওয়া যাওয়ায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষের খুবই সুবিধা হয়েছে। কোনও সময় চিকিৎসক না থাকলে টেলিমেডিসিনে পরামর্শ মিলছে। বিনামূল্যে এই পরিষেবা ভাবাই যায় না।’