মুরতুজ আলম, সামসী: লণ্ঠনের আলো দেখিয়ে দশমী তিথিতে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানালেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা সম্প্রীতির এমন নিদর্শন আজও ধরা পড়ল মালদার চাঁচলের পাহাড়পুরের মরা মহানন্দার ঘাটে। কথিত আছে, এক সময় মহানন্দা নদীর ওপারে শাওরগাছি গ্রামে মহামারী দেখা দেয়। সেই মহামারীর কোপে পড়েছিলেন বহু মানুষ।
এরপর দেবী ওই গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে স্বপ্নাদেশ দেন। স্বপ্নাদেশে দেবী জানান, দশমীর গোধূলি লগ্নে দেবীর বিদায় বেলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ মহানন্দার ওপার থেকে যাতে লন্ঠন হাতে দেবীকে পথ দেখান। সেই থেকে আজও এই রীতি অটুট। প্রায় চারশো আগে চাঁচলের রাজা রামচন্দ্র রায়বাহাদুর এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। চার শতকের রীতি মেনে বৃহস্পতিবার সেই দেবীর বিসর্জনের সময় লণ্ঠনের আলো দেখিয়ে তাকে বিদায় জানালেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।