বিশ্বজিৎ প্রামাণিক, পতিরাম: দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) চোদ্দো মাইল ও কুমারগঞ্জের (Kumarganj) শ্যামনগর এলাকায় ঘটে চলেছে বৃক্ষচ্ছেদনের ঘটনা। অভিযোগ, বিগত কয়েকদিনে সাতশোরও বেশি আকাশমণি গাছ অবৈধভাবে কেটে ফেলা হয়েছে বন দপ্তরের নাকের ডগায়। এবার অভিযোগের তির উঠেছে সরাসরি বালুরঘাট ফরেস্ট রেঞ্জার তাপস কুণ্ডুর দিকে। গ্রামবাসীদের দাবি, এই অবাধে গাছ কাটার পেছনে সরকারি মদত ছাড়া এতবড় অপারেশন সম্ভব না।
বেনিয়ম বৃক্ষচ্ছেদনের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন ফরেস্ট প্রোটেকশন কমিটির সদস্য আফজল হোসেন। তিনি জানান, ‘২০১৩ সালে জাইক্যা ফান্ড স্কিমের অধীনে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৫৬ হাজার গাছ রোপণ করা হয়েছিল। আমরা যারা এই প্রকল্পে নিযুক্ত ছিলাম, তাদের ২৫ শতাংশ ভাগীদারিত্ব রয়েছে। সেই গাছ কাটা হচ্ছে আমাদের না জানিয়ে। এই গাছ কাটা অবৈধ এবং অন্যায়।’
অন্যদিকে, বালুরঘাট (Balurghat) ফরেস্ট অফিসার তাপস কুণ্ডু সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘এই সমস্ত অভিযোগকারীরাই গাছ চুরির সঙ্গে যুক্ত। আমি যখন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি, তখনই তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। চোদ্দো মাইলে গাছ কাটার কোনও সরকারি অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা তদন্ত করছি।’
এই ঘটনার প্রতিবাদে চোদ্দো মাইল এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে। গ্রামবাসীরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে রায়গঞ্জ বনবিভাগের কাছে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট সার্ভিস এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের মালদা-রায়গঞ্জ বিভাগের চেয়ারম্যান সুনীল ঘোষও সরব হয়ে জানান, ‘এই ধরনের চুরি বহুদিন ধরে চলছে এবং এর পেছনে বন দপ্তরেরই কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত।’