Dakshin Dinajpur | সরাই হাটের সোনালি দিন এখন ফিকে

Dakshin Dinajpur | সরাই হাটের সোনালি দিন এখন ফিকে

শিক্ষা
Spread the love


অনুপ মণ্ডল, বুনিয়াদপুর: দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) প্রাচীনতম হাটগুলির মধ্যে একটি হল বুনিয়াদপুরের (Buniadpur) সরাই হাট। একটা সময় দক্ষিণ দিনাজপুর সহ আশপাশের জেলার মানুষজনের সমাগমে হাটটি গমগম করত। হাটের সেই সোনালি দিনগুলি এখন অতীত।

হাটে স্থানীয় ও ভিনজেলার ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ক্রেতারাও এসে তাঁদের পণ্য কেনাবেচা করতেন। কৃষিপণ্য, গবাদিপশু, হাঁস, মুরগি, ছাগল, শুয়োর, আসবাবপত্র, শাকসবজি, মশলা, জামাকাপড় সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র হাটে পাওয়া যায়।

স্বাধীনতার পরে হাটটি শুরু হয়েছিল ওই এলাকার জমিদারের প্রায় ৩ একর জায়গায়। বর্তমানে স্থানীয় বেশ কিছু মানুষজনের জায়গাতে হাটের কিছু অংশ সরে এসেছে।

স্থানীয়দের কথায়, আগের মতো হাটে এখন আর বেচাকেনা হয় না। নেই চেনা গমগম আওয়াজ, ব্যবসায়ীদের ভিড়ও অনেকটা কমেছে। আধুনিকতার ছোঁয়ার পাশাপাশি অব্যবস্থার কারণে হাটের ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে।

প্রবীণ ব্যবসায়ী জনার্দন সাহা বললেন, ‘আগে হাটে হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখা যেত। এখন অনেক কম মানুষজন হাটে আসেন। কৃষকরাও আর আগের মতো পণ্য নিয়ে হাটে আসেন না। এছাড়াও হাটে ফড়েদের দাপট ও খাজনার চাপ তো আছেই।’

হাটে গেলে দেখা যাবে বেশ কিছু জায়গার মালিকরা শাঁখের করাতের মতো ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে খাজনা নিচ্ছেন। যা একেবারেই বৈধ নয়। ফলে নাজেহাল হচ্ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।

হাটে আসা এক ক্রেতা বিভাস সূত্রধরের কথায়, ‘সরাই হাটে লোকসমাগম কমের পিছনে কয়েকটি বড় কারণ রয়েছে। সেগুলি হল, বর্ষার সময় কাদা, বেহাল রাস্তা, নিকাশিনালা, শৌচালয়ের অভাব, অনলাইনের প্রভাব, শপিং মলের আধুনিকতা, প্রশাসনের নজরদারির অভাব সহ হাট পরিচালনার সমগ্র ব্যবস্থা। এছাড়াও বর্তমানে আশপাশে নতুন হাটবাজার গড়ে ওঠায় অনেকে ওই সমস্ত জায়গাতে যাচ্ছেন।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের মতে, সরাই হাটের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হলে বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে হবে। হাটে ঢোকার মুখে সড়কের ওপর দোকানপাট বসানো বন্ধ করতে হবে। পানীয় জল, শৌচালয়, নিকাশি ব্যবস্থা, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে আবারও সরাই হাটের প্রাণ ফিরে পাওয়া যেতে পারে। এবিষয়ে পুর প্রশাসক কমল সরকার বললেন, ‘যেহেতু হাটটি জমিদারের বংশধর ও স্থানীয় বেশ কিছু মানুষজনের জায়গার ওপর রয়েছে, তাই আমরা আগ বাড়িয়ে সেখানে কিছু করতে পারছি না। তবে আমাদের দায়িত্ব দিলে আমরা সরাই হাটকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য নতুন করে পরিকল্পনা নিতে পারব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *