Dakshin Dinajpur | টাকা নেই, বন্ধ গ্রন্থাগার তৈরি 

Dakshin Dinajpur | টাকা নেই, বন্ধ গ্রন্থাগার তৈরি 

শিক্ষা
Spread the love


বিধান ঘোষ, হিলি: প্রশাসন ও ঠিকাদারি সংস্থার মধ্যে জটিলতার জেরে বন্ধ গ্রন্থাগার নির্মাণের কাজ। এমন অবস্থা দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হিলি (Hili) থানার অন্তর্গত ত্রিমোহিনী টাউন গ্রন্থাগারের। প্রায় মাসখানেক ধরে কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। দ্রুত গ্রন্থাগারটি তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। যদিও এবিষয়ে হিলির বিডিও চিরঞ্জিত সরকারের বক্তব্য, ‘ঠিকাদারি সংস্থা টাকা পায়নি জন্য কাজ বন্ধ হয়নি। বর্ষার জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। বর্ষার শেষে পুনরায় ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’ ভালো মানের কাজ হচ্ছে, তাই সময় লাগছে বলে জানান তিনি।

অভিযোগ, সম্প্রতি মাসদুয়েক আগে ওই নির্মীয়মাণ ভবনের দোতলার ছাদ ঢালাই হয়েছিল। ছাদ ঢালাইয়ের পর ব্লক প্রশাসনের কাছে ঠিকাদারি সংস্থা কিস্তির টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু তা না মেলায় নির্মাণকাজ থমকে যায়। এবিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি সংস্থার কর্ণধার পিন্টু সাহা বলেন, ‘গ্রন্থাগারের ভবন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছু শেষের দিকের কাজ বাকি আছে। কিন্তু আমি এখনও অবধি একটি কিস্তির টাকাও পাইনি। কাজটি করতে আমার ভালো পরিমাণ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এখন সেই টাকা না পেলে বাকি কাজ করা সম্ভব নয়।’

১৯৭০ সালে ত্রিমোহিনীতে এই টাউন গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সেই সময় সুদৃশ্য একটি কংক্রিটের ভবন নির্মাণ করে গ্রন্থাগারের পঠনপাঠন ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালিত হত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভবনটি দুর্বল হয়ে পড়ায় তা পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হয়েছে। তাই এই গ্রন্থাগারের ভবনটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গ্রন্থাগার দপ্তর থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। দীর্ঘ টালবাহানার পর ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে নতুন ভবনের নির্মাণ শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে ধীরগতিতে নতুন ভবনের নির্মাণ চলছিল।

এপ্রসঙ্গে গ্রন্থাগারিক অনিলচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে গ্রন্থাগারের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। তাই আমরা স্থানীয় একটি স্কুলে কোনওমতে গ্রন্থাগার চালাচ্ছি। কিন্তু মাসখানেক থেকে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুনেছি ঠিকাদার সংস্থা ঠিকমতো টাকা না মেলায় কাজ মাঝপথে বন্ধ করে দিয়েছে। যাতে দ্রুত ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয় সেবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছি। নিজস্ব ভবন না থাকায় আমাদের সমস্যা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *