Corn Cultivation | মাদক কারবারে না, আগ্রহ বাড়ছে ভুট্টা চাষ 

Corn Cultivation | মাদক কারবারে না, আগ্রহ বাড়ছে ভুট্টা চাষ 

শিক্ষা
Spread the love


মহম্মদ হাসিম, নকশালবাড়ি: ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা বরাবরই মাদক কারবারের সেফ করিডর হিসাবে পরিচিত। মোটা টাকা উপার্জনের ফাঁদে পড়ে এলাকার অনেকেই এই কারবারে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলির বাসিন্দারা চাষাবাদে মনোযোগ দিয়েছেন। এইসব এলাকায় বেড়েছে ভুট্টার চাষ (Corn Cultivation)। এলাকায় হাতির আনাগোনা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। তবে স্থানীয়দের এই উদ্যোগে কৃষি ও বন দপ্তর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় খুশি সকলে।

ইরফান খান নামে এক কৃষক বলেন, ‘হাতির হানার ভয়ে ভুট্টা চাষ প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। তবে বন দপ্তর হাতির হানা রুখতে অনেক সহযোগিতা করছে।’ পড়াশোনা করতে করতেও ভুট্টা চাষে ব্যস্ত কর্ণ বর্মন, মায়া ভুজেল, কৃষ্ণা ছেত্রীরা। তাঁরা সকলে জানিয়েছেন, পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষিকাজে হাত দিয়েছেন।

নকশালবাড়ি ব্লক কৃষি আধিকারিক তমালি সরকারের কথায়, ‘এই ব্লকে মোট ৩০০ হেক্টর জমিতে এবছর ভুট্টা চাষ হচ্ছে। তার মধ্যে ১০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার বীজ সরকারিভাবে বিতরণ করা হয়েছে। হাতির আনাগোনা সত্ত্বেও ভুট্টা চাষের সংখ্যা বেড়েছে। পাশাপাশি কৃষকদের প্রশিক্ষণ, ভুট্টার পোকার ওষুধ দপ্তর থেকে দেওয়া হয়েছে।’

কার্সিয়াং ডিভিশনের পানিঘাটার রেঞ্জ অফিসার সমীরণ রাজ জানিয়েছেন, চার-পাঁচ বছর আগে ডিভিশনের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় হাতির হানার ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭০ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে বন বিভাগকে। তবে গত বছর তা কমে প্রায় ৩০ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘রেঞ্জের এক্তিয়ারভুক্ত কলাবাড়ি বনাঞ্চলে দুটি হাতি রয়েছে। তবে ভুট্টার মরশুমে শেষের দিকে হাতির দল বনাঞ্চলে ঘাঁটি গাড়বে। তবে হাতির হামলার মোকাবিলা করতে বন বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *