গৌরহরি দাস, কোচবিহার: কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কোচবিহারের (Cooch Behar) ঐতিহ্যবাহী সাগরদিঘির (Sagardighi) সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছিল। সেই উদ্যোগে সাগরদিঘির চারপাশে বেশকিছু হেরিটেজ স্ট্রিট লাইট বসানো হয়। মাঝে মাত্র কয়েক মাস সময় পেরিয়েছে। এর মধ্যেই সন্ধ্যাবেলা দিঘির পূর্ব ও উত্তর পাড়ে সেই সব আলোর বেশিরভাগই বেহাল হয়ে পড়েছে। প্রায় রোজই জায়গাটি অন্ধকার হয়ে থাকে। আবার হঠাৎ কোনও কোনওদিন আলো জ্বলে ওঠে। পুরোনো দিনের লাইটপোস্টের আদলে কালো রংয়ের নকশা করা সুন্দর লোহার খুঁটিতে অত্যাধুনিক সাদা আলোগুলি লাগানো হয়েছিল। এত টাকা খরচ করে ঢেলে সাজানোর পরেও আলো না থাকায় পর্যটকদের মধ্যেও কোচবিহার শহর সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে কোচবিহারের সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে। এব্যাপারে কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সাগরদিঘির পূর্ব ও উত্তর দিকে কেএমডিএ যে হেরিটেজ স্ট্রিট লাইটগুলি লাগিয়েছিল সেগুলি প্রায় রাতেই জ্বলছে না। আমার অফিসের সামনেও প্রায়ই এই সমস্যা দেখি।’
কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির উদ্যোগে (কেএমডিএ) এই কাজ করা হয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে কেএমডিএ-এর সঙ্গে কথা বলা হলে তারা নিজেদের দায় এড়িয়েছে। তাদের মতে, আলো না জ্বলার জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা (ডব্লিউবিএসইডিসিএল) দায়ী। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবিষয়ে কেএমডিএ বলছে যে তাদের লাইটগুলিতে কোনও সমস্যা নেই। বিদ্যুতের তারেই আসল সমস্যা। সেই কারণেই আলোগুলি জ্বলে না। অন্যদিকে ডব্লিউবিএসইডিসিএল জানাচ্ছে তাদের বিদ্যুতের তারে কোনও অসুবিধা নেই। আলোতেই সমস্যা। মহকুমা শাসক বললেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আমি কেএমডিএ ও ডব্লিউবিএসইডিসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে তারা একে অন্যের ওপরেই ক্রমশ দায় চাপাচ্ছে।’ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।