দিনহাটা ও কোচবিহার: চোরাচালানে মদত দিচ্ছে বিএসএফ। রবিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর পোস্ট করা এক ভিডিওকে ঘিরে বিএসএফের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। সেই পোস্টে উদয়ন লিখেছেন, ‘আমি অনেকদিন থেকে বলে আসছি, সীমান্তে অনুপ্রবেশই বলুন বা পাচার বিএসএফ-এর মদত ছাড়া হতেই পারে না। এই ভিডিও আমার দাবির সত্যতাকেই প্রমাণ করে।’ এদিন তাঁর এই পোস্টের পরই জেলা রাজনীতিতে হইচই পড়ে যায়।
ভিডিওতে বামনহাট-২ এর আটিয়ালডাঙ্গার সীমান্তে জনৈক ব্যক্তি চাষের জমিতে জল দিতে গিয়ে ভিডিওটি করেছেন। সেখানে দেখানো হচ্ছে, পাচারকারী কীভাবে বিএসএফের সহযোগিতায় জিরো সীমান্তের ওপারে পাচার করছে। সেই পাচারকারীর সাইকেল ও সামগ্রীও দেখায় ওই ব্যক্তি। এদিন নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ব্যক্তি জানান, তাঁরা জমিতে চাষাবাদের কাজ করতে গেলে যেভাবে বিএসএফ অতি সক্রিয় হয়ে পড়ে। কিন্তু পাচারকারীদের প্রতি তাদের যে দুর্বলতা রয়েছে তা তাদের আচরণ ও কাজকর্মে বোঝাই যায়। আর এ কাজে বিএসএফ জওয়ানদের একাংশের যে মদত রয়েছে তা স্পষ্ট।
মন্ত্রীর কথায়, ‘ঘটনাটি আমার বিধানসভা ক্ষেত্রের মধ্যেই। আমি বরাবরই বলে এসেছি, বিএসএফের মদত ছাড়া কোনওরকম পাচারের কাজ করা সম্ভব নয়। অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রেও বিএসএফের মদত রয়েছে। তাই এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আরও বেশি করে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘তিনি যে ভিডিও পোস্ট করেছেন, তাতে শুধু দেখা যাচ্ছে একটা সাইকেল, দুটো ব্যাগ আর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় গেট খোলা রয়েছে। তাতে কী প্রমাণ হচ্ছে? কারণ, কাঁটাতারের বেড়ার ওপারেও ভারতের বাসিন্দাদের চাষের জমি রয়েছে। তাঁরা সেগুলি চাষাবাদ করতে যান। সেজন্য বিএসএফ মাঝেমধ্যে গেট খোলা রাখে।’ সুকুমারবাবু আরও বলেন, ‘আসলে উদয়ন গুহর কাজই হচ্ছে দেশের নিরাপত্তার জন্য যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোদ, ঝড়, জল, বৃষ্টিতে দিনরাত জেগে থেকে সীমান্ত পাহারা দেন, তাঁদের যে কোনওভাবে যে কোনও মূল্যে বদনাম করা। আসলে এসব করে তিনি প্রচারের লাইম লাইটের থাকতে চান।’