কোচবিহার: ননদের সঙ্গে পরকীয়া (Extramarital affair) মত্ত। ননদকে নিয়ে কেরলে চলে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল প্রেমিকের। সব পরিকল্পনা এক নিমিষে ভেস্তে দিলেন বৌদি! অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন ওই মহিলার দাদা-বৌদি। গোটা ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারে (Cooch Behar)।
মাথাভাঙ্গার (Mathabhanga) কুশিয়ারবাড়ির যুবক রেজাউল হকের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে মাথাভাঙ্গার এক বিবাহিতা মহিলার। তাঁর স্বামী ও দুই সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি বোনের পরকীয়ার কথা জানতে পারেন দাদা মিলন বর্মন ও বৌদি চন্দনা সরকার। কীভাবে পরকিয়ার সম্পর্ক বন্ধ করা যায় তা নিয়ে ফন্দি আঁটেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। দুদিন আগে বোনের ফোন একপ্রকার জোর করে নিয়ে নেন মিলন বাবু। সেই ফোন দিয়েই তাঁর স্ত্রী প্রেমিকা সেজে কথা বলা শুরু করেন। এরপর চন্দনার সঙ্গে দেখা করার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কেশব রোডে এনবিএসটিসির কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে এসে পৌঁছায় অভিযুক্ত রেজাউল। সেখানে তাঁর প্রেমিকার বদলে তার দাদা বৌদিকে দেখে ভীষণ ঘাবরে যায়। সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করলে উপস্থিত কয়েকজন তাকে ফেলে। এরপর সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকে রেখে পুলিশে (Police) খবর দেয়। পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে চন্দনা দেবী বলেন, ‘অভিযুক্তকে ধরার জন্য আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম। দু’দিন ধরে ননদ সেজে ওর সঙ্গে কথা বলি। অভিযুক্ত কেরলে নিয়ে যাবে বলেছিল। আসলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পাচারের চেষ্টা করছিল। এরপর ওকে কোচবিহারে ডাকলে ও সেখানে চলে আসে। এরপর ওকে ধরা হয়। ওর কাছে অনেক টাকা ছিল। কিসের টাকা তা নিয়ে তদন্ত করা উচিত।’
অন্যদিকে, অভিযুক্ত রেজাউল বলেন, ‘আমাদের কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল না। খারাপ কোনও উদ্দেশ্যও ছিল না। আমি এখানে দেখা করতে এসেছিলাম। আমাকে মারধর করা হয়েছে।’ পুলিশের তরফে জানা গেছে, যুবককে আটক করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আসল ঘটনা।’