Cooch Behar | দখল’ প্রতীক্ষালয়, রোদে পুড়ছেন যাত্রীরা

Cooch Behar | দখল’ প্রতীক্ষালয়, রোদে পুড়ছেন যাত্রীরা

ভিডিও/VIDEO
Spread the love


বক্সিরহাট: সূর্য তখন মধ্য গগনে। শুক্রবার প্রখর রোদে গাড়ির অপেক্ষায় বৃদ্ধ দম্পতি সহ কয়েকজন দাঁড়িয়ে ছিলেন। কারণ যাত্রীদের জন্য সরকারি অর্থে নির্মিত প্রতীক্ষালয় দখল হয়ে গিয়েছে। তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের বারকোদালি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের লাঙলগ্রাম থেকে দেবগ্রাম রাজ্য সড়কের মাঝে মেচকোকা চৌপথিতে থাকা যাত্রী প্রতীক্ষালয় দখল করে রমরমিয়ে ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসনের কর্তাদের বিষয়টি অজানা নয়। অভিযোগ, তবু এব্যাপারে তাঁদের ভ্রূক্ষেপ নেই। তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের বিডিও দালাকি লামা বলেন, ‘পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’তুফানগঞ্জ-২ ব্লকে নিত্যযাত্রীদের সুবিধার্থে নির্মিত যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলির অবস্থাও বেহাল। কোথাও প্রতীক্ষালয় দখল করে ব্যবসা চলছে। কোথাও যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলি আবর্জনায় পরিপূর্ণ। এতে নিত্যযাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন।

ব্লকের লাঙলগ্রাম-দেবগ্রাম রাজ্য সড়কে নিত্যযাত্রীদের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি হয়েছে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারির অভাবে সেগুলি জবরদখল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। জনবহুল এলাকা হওয়ায় মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। তাছাড়া ছোট গাড়ি, টোটো, অটো ধরে প্রতিদিন অনেক মানুষ গন্তব্যে পৌঁছান। সেদিক থেকে এই এলাকার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এহেন জনবহুল এলাকায় যাত্রীদের জন্য প্রতীক্ষালয়টি দখল হওয়ায় নাগরিকরা প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ।

শ্যামল বর্মনের বক্তব্য, ‘চড়া রোদে আধ ঘণ্টার ওপর দাঁড়িয়ে আছি। বসার জায়গায় পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করছে। অথচ বাধা দেওয়ার মতো কেউ নেই। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য প্রশাসনের কি যায় আসে?’ প্রশাসনের ভূমিকায় খানিকটা ক্ষোভের সুর ষাটোর্ধ্ব দীনেশ চক্রবর্তীর গলাতেও। তাঁর কথায়, ‘রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে গাড়িতে উঠতে হয়। বিশ্রাম নেওয়ার জায়গায় ব্যবসা চলছে। সত্যিই আশ্চর্যজনক।’ কলেজ পড়ুয়া অনিমেষ সরকার জানান, রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থেকে গাড়িতে উঠতে হয়। এতে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।’

The submit Cooch Behar | দখল’ প্রতীক্ষালয়, রোদে পুড়ছেন যাত্রীরা appeared first on Uttarbanga Sambad.



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *