Cooch Behar | তুফানগঞ্জে বাজার কাপাচ্ছে বেগুনফুলি

Cooch Behar | তুফানগঞ্জে বাজার কাপাচ্ছে বেগুনফুলি

ভিডিও/VIDEO
Spread the love


তুফানগঞ্জ:  পাকা আমের গন্ধে ম-ম করছে  তুফানগঞ্জ। গরম পড়তেই শহরের ফলপট্টিতে দেখা মিলেছে বিভিন্ন আমের। গন্ধের টানে হাতিয়ে হাতিয়ে তা কিনেও ফেলছেন আমজনতা।  রানিরহাট ফলপট্টিতে খোঁজ নিতেই দেখা গেল, ফলের দোকানগুলিতে আমের রাজত্ব চলছে। তার মধ্যে দক্ষিণ ভারতের বেগুনফুলি, গোলাপখাস, পাকুরম্যান আমও রয়েছে। বেগুনফুলি অন্ধ্রপ্রদেশের আম। জমাট শাঁস। ভালোভাবে পাকলে কেটে ঠাণ্ডা করে কাঁটা চামচে খেতে খুবই ভালো! টক-মিষ্টির এক কম্বাইন্ড চনমনে স্বাদ। এমন স্বাদ সাধারণত অতি মিষ্টি বাংলার আমে থাকে না। আর আন্তর্জাতিক ফল বাজারে খুব মিষ্টি আমকে খুব একটা তোল্লা দেওয়া হয় না। তাই এই আমের চাহিদাও বেশ ভালো।

 ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, প্রতিবছর গরমের সময় আমের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। বিশেষ করে  ল্যাংড়া ও লক্ষণভোগ। কিন্তু মালদার আম বাজারে আসতে প্রতিবারই কিছুটা দেরি হয়। তাই মালদার আম এখনও না মিললেও চেন্নাইয়ের আমই আপাতত ভরসা। এর মধ্যে কৃষ্ণনগরের হিমসাগর আম বাজারে আসা শুরু হয়েছে। এককথায় ষষ্ঠীর আগেই জামাইয়ের পাতে মালদার আম পড়তে চলেছে।

ফল ব্যবসায়ী রঞ্জিত দাসের কথায়, ‘পাকুরম্যান ৮০ টাকা কেজি দরে, বেগুনফুলি ও গোলাপখাস ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’ অপর ফল ব্যবসায়ী বিপ্লব বর্মন বলেন, ‘এ সময় তাই নতুন ফল হিসেবে আমের চাহিদা রয়েছে। আমের দ্বিতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তাই মালদার আম না এলেও চেন্নাইয়ের আমেই মজেছেন তুফানগঞ্জবাসী।’

এদিকে, কেরলে সবার আগে আম পাকে। এরপর একে একে দক্ষিণ ভারতের অন্য রাজ্যে আম পাকতে থাকে। তাই দক্ষিণ ভারতের আমই বাংলার বাজার দখল করতে চায়। এই প্রবণতা ইদানীং বেড়েছে। তুফানগঞ্জের বাসিন্দা দীপক মজুমদার বলেন, ‘আম বরাবরই প্রিয় ফল, তবে মালদার আমের চাইতে ভালো আম কিছু হয় না। তাই চেন্নাইয়ের আম বাড়িতে আনলেও তাতে মনের সাধ মেটেনি। অগত্যা অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই।’ এদিন ছেলেকে দাঁড় করিয়ে গন্ধ শুঁকে আম দেখছিলেন নাককাটি গাছ এলাকার সুকুমার দাস। জানালেন, বেদানা কিনতে বাজারে ঢুকলেও আম দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। তবে মালদার আম এখনও বাজারে ঢোকেনি। মরশুমের প্রথম ফল বলে কথা। তবে ছেলের আবদারে বাধ্য হয়ে গোলাপখাস আমই নিলাম।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *