বক্সিরহাট: আদিবাসী মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে ‘ভেষজ সুরক্ষা’ নার্সারি গড়ে তুলল প্রশাসন। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের সঙ্গে মিলবে ঔষধি গাছও। করা হবে উদ্ভিদজাত এবং ভেষজ দ্রব্য প্রক্রিয়াকরণও। তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের আটিয়ামোচড় আদিবাসী বনবস্তিতে শুক্রবার ওই নার্সারিটির উদ্বোধন হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য আসরিতা মুন্ডা ওরাওঁ বললেন, ‘প্রশাসনের তরফে আগেই আমাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সুযোগ পাওয়ায় সকলেই খুব খুশি। সংসার সামলানোর পর অবসর সময়ে ভেষজ উদ্যানে কাজ করে বাড়তি অর্থ উপার্জন করতে পারব। এতে সংসারের কিছুটা সামাল দেওয়া যাবে।’
এক একর জমির ওপর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ২০ জন আদিবাসী মহিলা উদ্ভিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। নার্সারিতে আমলকী, সজনে, বেল, তুলসী, সর্পগন্ধা থেকে থাকবে অ্যালোভেরা, কুলেখাড়া, ব্রাহ্মী, স্টিভিয়া সহ ২০টি প্রজাতির গাছ।
প্রাথমিকভাবে নার্সারিতে তুলসী, স্টিভিয়া, আমলকী, অ্যালোভেরা ইত্যাদি চাষ করে তা বাজারজাত করা হবে। এতে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। পাশাপাশি তুলসী, চা, হলুদ সহ বিভিন্ন মশলার গুঁড়ো তৈরিরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আটিয়ামোচড়ের এই নার্সারি খুলতে আর্থিক সহযোগিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ জীববৈচিত্র্য পর্ষদ এবং উদ্যোগ নেয় আয়ুষ বিভাগ। নার্সারিতে তুলসী গাছের বীজ বপন করেন তুফানগঞ্জ-২ বিডিও দালাকি লামা, নাটাবাড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক বাসবকান্তি দিন্দা। আমলকীর বীজ বপন করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শীতলচন্দ্র দাস প্রমুখ। বাসবকান্তির কথায়, ‘নাটাবাড়িতে এরকম একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এতে অনেকে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হবেন।’
এদিন সেখানে ছিলেন মহিষকুচি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বীণা বর্মন, জেলা জীববৈচিত্র্য কোঅর্ডিনেটর সুব্রত সেন প্রমুখ।