কুমারগঞ্জ: কুমারগঞ্জ ব্লক ফিশারমেন কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে জয়জয়কার তৃণমূলের। ৯টি আসনের মধ্যে সবকয়টিতেই জয়লাভ করে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। রবিবার সকালে নির্বাচনকে ঘিরে রবিবার উত্তেজনার আবহ তৈরি হল বরাহার এলাকায়। সকাল থেকেই ভোটপ্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ থাকলেও তপন বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু আইটিআই ভোটকেন্দ্রের সামনে আসতেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে শুরু করে তৃণমূল সমর্থকরা। পালটা বিজেপি কর্মীরা ‘জয় ভারত’ স্লোগান দিতেই দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এই সমবায় নির্বাচনে ৯টি আসনে মোট ১৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা করেছিলেন। মূল লড়াই হয় তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে। ৫৮১ জন ভোটারের মধ্যে এদিন ভোট দেন ৪৮২ জন। নির্বাচনে সবকয়টি আসনেই জয়লাভ করে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। তবে এই নির্বাচন ঘিরে বেশ কয়েকটি অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি শিবির। বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী নিশি পদ দাস ও বৈশাখি দাস জানান, ভোট দিতে গেলে তারা দেখেন তাদের ভোট আগেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে কর্তব্যরত আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানালে তাদের ভোট নেওয়া হলেও তা টেন্ডার ভোট হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু অভিযোগ, সেই দুটি ভোট বাক্সে ফেলা হয়নি, বরং অফিসারের হাতেই থেকে গেছে। বুধরাই টুডুর অভিযোগ, ‘যে যার মতো ভোট দিয়ে আসছে। ভেতরের সিরিয়াল নাম্বার এর সঙ্গে বাইরের লিস্টের সিরিয়াল নাম্বারের কোনও মিল নেই।’
বিজেপির অভিযোগ, অন্তত ১০০টি ভুয়ো ভোট করানো হয়েছে। যদিও নির্বাচন কর্তৃপক্ষ এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এই ঘটনায় বরাহার আইটিআই কেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরে দীর্ঘক্ষণ উত্তেজনা অব্যাহত ছিল। বিজেপি নেতা রজত ঘোষ জানিয়েছেন, ‘প্রায় ১০০টি ভুয়ো ভোট করানো হয়েছে।’
তবে তৃণমূল ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল বসাক পাল্টা জবাব দিয়েছেন, ‘বিজেপি হারার ভয়ে এইসব মিথ্যে অভিযোগ তুলছে। ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। একই নাম লিস্টে থাকায় সিরিয়াল নম্বর এদিক ওদিক হতে পারে। আমাদের দুইজন এসে আমাকে জানিয়েছেন যে তাদের সিরিয়াল নম্বরে ভোট হয়ে গেছে। কিন্তু তারাও ভোট দিতে পেরেছেন।’
ফিশারিজ এক্সটেনশন অফিসার (এফইও) বিশ্বদীপ দে জানিয়েছেন, ‘কোনো ভুয়ো ভোটার ভোট দেয়নি। ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’ পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে, এই সমবায় নির্বাচনের ফল তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের লড়াইতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।