সানি সরকার, শিলিগুড়ি : শেষমুহূর্তে কি বৃষ্টিকে সঙ্গী করে বিদায় নিতে চলেছে শীত? নাকি বৃষ্টিকে সঙ্গী করে আরও একবার স্লগ ওভারে চার-ছক্কা হাঁকাবে ঠান্ডা। এই প্রশ্নটা যখন সকলের মনেই ঘোরাফেরা করছে, ঠিক সেসময় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, মঙ্গলবার থেকে সমতলে মেঘের আনাগোনা শুরু হবে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলার ডুয়ার্স এলাকায় দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি উত্তরের প্রায় সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শনি এবং রবিবার। ওই দু’দিন পাহাড়ে হতে পারে মাঝারি বৃষ্টি। কোথাও কোথাও বজ্রপাত সহ শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
পাহাড়ে বৃষ্টি হলেই পালটে যায় সংলগ্ন সমতলের আবহাওয়া। অর্থাৎ সপ্তাহান্তে ফের তাপমাত্রার পতন ঘটতে চলছে হুহু করে। আবহাওয়া দপ্তরের সিকিমের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহার বক্তব্য, ‘একটি শক্তিশালী ঝঞ্ঝার প্রভাবে সাগর থেকে জলীয় বাষ্পের জোগান ঘটার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলেও বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে শীতের বিদায় ঘটবে।’ অর্থাৎ অতীতের মতো বিদায়বেলায় হাড় কাঁপিয়েই, আট মাসের জন্য পাততাড়ি গোটাবে শীত।
গত কয়েকদিনে একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পাহাড়ে আছড়ে পড়লেও, তার প্রভাবে সেভাবে বৃষ্টি হয়নি পাহাড়ের বাইরে কোথাও। পাহাড়েও বিক্ষিপ্তভাবেই বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক বায়ুপ্রবাহের অনুপস্থিতিতে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প টেনে আনতে পারেনি ঝঞ্ঝা। ফলে মাসের পর মাস শুষ্ক থেকেছে উত্তরবঙ্গ। দিন-রাতের কুয়াশায় বেড়েছে অস্বস্তি।
তবে এবার স্বাভাবিক বায়ুপ্রবাহ শুরু হওয়ায় ঝঞ্ঝা বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প টেনে আনতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ, বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এবার সমতলে সেই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা।