সৌরভ রায়, হরিরামপুর: এতদিন ধরে চলছিল অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। তবে সেই ঘটনায় এবার যুক্ত হল খুনের মামলা। পাঁচ মাস আগে হরিরামপুরের পুণ্ডরী পঞ্চায়েতের হাজরাপুর গ্রামে একটি গাছ থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার তথা এলাকার বাসিন্দা মিনারুল ইসলামের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত করছিল পুলিশ। তবে এবার বৌদি ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে খুনের অভিযোগ আনলেন মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের ছোট ভাই আবদুল রশিদ। বুধবার এনিয়ে হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এদিকে অভিযোগ দায়ের হতেই বৌদির প্রেমিক গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ন’টায় ডিউটিতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন হরিরামপুর থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত মিনারুল। পরদিন সকালে পাশের পান্নাপুর গ্রামের নোনাপুকুরের পাড়ে একটি গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও, সেভাবে কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।
মৃতের ভাই আবদুল বলেন, ‘দাদার মৃত্যু নিয়ে প্রথমদিন থেকেই সন্দেহ ছিল। প্রখম থেকেই মনে হয়েছিল দাদাকে খুন করা হয়েছে।’ আবদুলের অভিযোগ, ‘দাদার মৃত্যুর কয়েকদিন পর বৌদির উপর সন্দেহ হয়। গ্রামের এক তরুণের সঙ্গে বৌদি মেলামেশা করতে থাকে। গত ১৯ অগাস্ট সকালে বৌদি লাভলি আক্তার বানুকে গ্রামের অনেকের সামনে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আক্রামুল ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নেয় সে।’ এমনকি আক্রামুল ও লাভলি রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন বলে দাবি করেন আবদুল। পথের কাঁটা সরাতেই চক্রান্ত করে দাদাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ আবদুলের।
পুণ্ডরী পঞ্চায়েতের প্রধান সাজাহান বাদশা জানান, মিনারুলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোনও কারণ ছিল না। পুলিশও তদন্তে নেমে কিছু খুঁজে পায়নি। তবে ১৯ অগাস্ট মিনারুলের স্ত্রী খুনের অভিযোগ স্বীকার করায় সকলেই হতবাক। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হরিরামপুর থানার আইসি অভিষেক তালুকদার। এসডিপিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’