চ্যাংরাবান্ধা: মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের বৃষ্টিতে জল জমে বেহাল দশা চ্যাংরাবান্ধা বাজারের। নিকাশি ব্যবস্থা বেহালের কারণে ভোগান্তি বেড়েছে বাসিন্দাদের। এদিকে, দোকানের সামনে জল জমে থাকায় আসতে চাইছেন না ক্রেতারা। সে কারণে সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। প্রতিবছর বর্ষায় এমন হাল হয়। বাজারের জলনিকাশি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়দের অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বনাথ সেনের কথায়, ‘বারবার প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েও বাজারের হাল ফেরেনি। এই তো অবস্থা। ভোট ছাড়া কেই বা আর সাধারণ মানুষের খোঁজ রাখে।’ তবে মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তরফে পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
চ্যাংরাবান্ধা বাজারে নিকাশি ব্যবস্থা বলে কোনও কিছু অবশিষ্ট নেই। বিভিন্ন মহলে নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কার বা নালা নির্মাণের দাবি জানানো হলেও আশ্বাস ছাড়া আর কিছু মেলেনি। এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ব্যবসায়ী উত্তম কানু। তিনি বললেন, ‘বর্ষাকালে এমনিতেই বিক্রি বাটা কম হয়। তার ওপর একটু বৃষ্টিতে জল জমে যায় দোকানের সামনে। সেই জল ঠেলে কোনও ক্রেতা দোকানে আসবে বলুন তো?’
বাজারের পাশেই রয়েছে বাচ্চাদের একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সাহেরা বেগম নামে এক অভিভাবকের কথায়, ‘বর্ষায় বাচ্চাদের রোগব্যাধি লেগেই থাকে। নোংরা জল পেরিয়ে কোন ভরসায় বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে আসব? প্রশাসন নজর দিলে খুব ভালো হয়।’
বাজারের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চ্যাংরাবান্ধা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মিতুল সাহা। তিনি বললেন, ‘বাজার এলাকা লাগোয়া বিভিন্ন রাস্তা সংস্কার করায় তা উঁচু হয়ে গিয়েছে। সে কারণে বাজার এলাকার জমা জল বেরোতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা ঠিক করে হাটে বসতে পারেন না। পঞ্চায়েত সমিতিকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি।’
এদিকে, সমস্যার কথা এর আগে দুয়ারে সরকারে তুলে ধরা হয়েছিল। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধানে’-ও তুলে ধরা হয়েছে। আদৌ কি সমাধান হবে, তা নিয়ে ধন্দে ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পম্পা রায় বলেছেন, ‘বাসিন্দারা সমস্যার কথা আমাকে জানিয়েছেন। ব্যবসায়ী সমিতির থেকেও অভিযোগপত্র পেয়েছি। আমি নিজেও এলাকা পরিদর্শন করে বিষয়টি দেখেছি। আমাদের পাড়া আমাদের সমাধানে এই বিষয়গুলির যাতে দ্রুত সুরাহা করা যায়, সেটা দেখছি। বাকি বিষয়গুলি কোচবিহার জেলা পরিষদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করব।’