শতাব্দী সাহা, চ্যাংরাবান্ধা: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জেরে শনিবার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকল চ্যাংরাবান্ধা আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরের মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য। শনিবার সারাদিন কার্যত শুনশান থেকেছে সীমান্ত গেট। পণ্য নিয়ে গাড়ির যাওয়া আসা না থাকায় সর্বদা কোলাহলপূর্ণ এলাকা এক কথায় যেন নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল এদিন।
শনিবার সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে যাওয়ার জন্য চ্যাংরাবান্ধা সার্ক রোড বরাবর দাঁড়িয়ে ছিল সারি সারি ট্রাক। এই গরমে রোদের মধ্যে সকাল থেকে বিকাল অবধি দীর্ঘক্ষন ট্রাক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে ট্রাক চালকদের যেমন নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে, তেমনি ব্যবসা বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা সহ নানা স্তরের মানুষ।
এ বিষয়ে চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক উত্তম সরকার বলেন, “ব্যবসা বন্ধ থাকলে ক্ষতি হওয়াটা স্বাভাবিক। এমনিতেই এখন ব্যবসার পরিস্থিতি মন্দা চলছে। আমদানি বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় নগণ্য। কিন্তু রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ব্যবসা চলছিল। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ থেকে ২০০ গাড়ি পণ্য রপ্তানি করা হত। কিন্তু বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির কারণে এদিন বাণিজ্য সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আমাদের কিছু না জানানো হলেও বিভিন্ন মাধ্যমে ও সংবাদমাধ্যমের দ্বারা আমরা জানতে পেরেছি, বাংলাদেশের উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সরকারের সঙ্গে তাদের কাস্টমসের ঠিকঠাক বনিবনা হচ্ছে না। এই কারণে বাংলাদেশের কাস্টমসের তরফ থেকে পেন ডাউন রাখা হয়েছে। যার জেরেই ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। আমাদের ভারতবর্ষ থেকে পণ্য পাঠাতে কোনওরকম সমস্যা নেই। আমাদের গাড়িগুলি পণ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য বর্ডার গেটেই দাঁড়িয়ে ছিল। চ্যাংরাবান্ধার এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে এলাকার অর্থনৈতিক পরিকাঠামো জড়িত। ব্যবসা বন্ধ থাকায় নানা স্তরের মানুষের প্রচুর পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।”