চ্যাংরাবান্ধা: দিনদুয়েক আগে পদাতিক এক্সপ্রেসে চেপে কলকাতা থেকে নিউ চ্যাংরাবান্ধা স্টেশনে নামেন উছলপুকুরির বাসিন্দা অনিমেষ রায়। স্টেশনে নেমে দাদার সঙ্গে তিনি বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় রাস্তার বড় বড় জল জমা গর্তে বাইক কাত হয়ে লাগেজ নিয়ে দুজনই পড়ে যান। ভেজা গায়ে কাদামাখা অবস্থায় ২৫ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয় তাঁদের। সেই থেকে ধুম জ্বর। নিউ চ্যাংরাবান্ধার নাম শুনলেই এখন শিরদাঁড়া দিয়ে ভয়ের চোরাস্রোত বয়ে যাচ্ছে অনিমেষের।
এশিয়ান হাইওয়ে থেকে নিউ চ্যাংরাবান্ধা রেলস্টেশনে প্রবেশের রাস্তাটির দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার বড় বড় গর্তে জল জমে কার্যত পুকুরের রূপ নিয়েছে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে স্থানীয়দের দাবি জোরালো হচ্ছে।
মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারী বলেন, ‘সমস্যার কথা জানি। আমি রেলমন্ত্রকের কাছে রাস্তাটি ঠিক করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। তবে আজ পর্যন্ত পদক্ষেপ করা হয়নি। পুনরায় আবেদন জানাব।’ ভোটবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লিপিকা রায়ের কথায়, ‘পঞ্চায়েতের একার পক্ষ থেকে এই কাজ করা অসম্ভব। এলাকাবাসীকে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবিরে রাস্তার কাজের জন্য অভিযোগ জমা করতে বলেছি। চেষ্টা করব সমস্যার সমাধানের।’
নিউ চ্যাংরাবান্ধা স্টেশনটি মেখলিগঞ্জ ব্লকের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশন। মেখলিগঞ্জ ব্লক থেকে সরাসরি কলকাতা যাতায়াতের একমাত্র ট্রেন পদাতিক এক্সপ্রেসের স্টপেজ রয়েছে। ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোজ প্রচুর সংখ্যক মানুষ ট্রেন ধরতে আসেন। এলাকাটিও যথেষ্ট ঘনবসতিপূর্ণ। স্টেশন সংলগ্ন জায়গায় রেলের তরফে পাকা রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ওই ৫০০ মিটার রাস্তায় দুর্ভোগের অন্ত নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিনা খাতুনের কথায়, ‘ছোটদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি। রাস্তার গর্তগুলো দিন-দিন বড় হয়ে যাচ্ছে। কখন জলে পড়ে যাবে ভেবে ভয় পাই।’ তাঁর আক্ষেপ, ‘জানি না কবে এই রাস্তা ঠিক হবে।’
ব্যবসায়ী গোপাল সাহা বলেন, ‘ব্যবসার কাজে প্রায়ই আমাকে বাইরে যাতায়াত করতে হয়। ব্লকের বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য বাইরে যান। সবাইকেই স্টেশনে আসতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। নিউ চ্যাংরাবান্ধা স্টেশনে আসতে গেলে যা ভোগান্তি সহ্য করতে হয় তা বলার নয়। দ্রত রাস্তাটি মেরামত করা প্রয়োজন।’
The submit Changrabandha | জলভর্তি খানাখন্দে সীমাহীন ভোগান্তি appeared first on Uttarbanga Sambad.