উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতির কারণে ২০১৬ সালে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে তোলপাড় রাজ্য। চাপে পড়েছে সরকারও। এরই মধ্যে আগামীকাল নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত আরও একটি মামলার শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Courtroom)। যা কিনা রাজ্য সরকারের উদ্বেগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত বছর এপ্রিলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ প্রথম ২৫৭৫২ জনের চাকরি বাতিলের রায় দেয়। পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য মন্ত্রীসভা যে সুপার নিউমেরিক পদ তৈরি করে অতিরিক্ত নিয়োগ করতে চেয়েছিল তা নিয়েও সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশ কার্যকর হলে রাজ্যের গোটা মন্ত্রীসভা তদন্তের আওতায় চলে আসার কথা। এক্ষেত্রে রাজ্য মন্ত্রীসভার কোন কোন সদস্য এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে তাদের হেপাজতে নিয়ে জেরা করার কথাও জানিয়েছিল আদালত। রাজ্য সরকার তড়িঘড়ি এই নির্দেশের উপর সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানায় সুপ্রিম কোর্টে। তখনকার মতো স্থগিতাদেশ মিললেও আগামীকাল ফের ওই মামলার শুনানি রয়েছে শীর্ষ আদালতে। আগামীকালের শুনানিতে এই স্থগিতাদেশ উঠে গেলে ফের চাপে পড়বে রাজ্য সরকার।
এর আগে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসেই অতিরিক্ত শূন্যপদ প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার কথা উঠে এসেছিল শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনের মুখে। ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর, আদালতে উপস্থিত মণীশ জৈনের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চেয়েছিলেন, অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল? উত্তরে শিক্ষাসচিব বলেন, উপযুক্ত স্তর থেকেই নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্রাত্য বসু নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Rip-off) ধামাচাপা দিতে ও বঞ্চনার অভিযোগে আন্দোলন করে আসা চাকরিপ্রার্থীদের চাকরির সুযোগ করে দিতেই অবৈধ ভাবে এই সুপার নিউমেরিক পদ তৈরিতে অনুমোদন দেয় রাজ্য মন্ত্রীসভা। মন্ত্রীসভার সুপারিশেই প্রায় ৭ হাজার (৬,৮৬১) অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল। যা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন উঠলে থমকে যায় নিয়োগ। রাজ্য সরকার জানায়, পদ তৈরি হলেও তাতে কোনও নিয়োগ করা হয়নি। এই যুক্তিতে সাময়িক স্থগিতাদেশ মিললেও আগামীকালের শুনানির দিকে নজর রয়েছে সকলের।