অনুপ মণ্ডল, বুনিয়াদপুর: টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে আদিবাসী নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বংশীহারি এলাকা। জানা গিয়েছে, অষ্টমীর দিন ১২ বছর বয়সি ওই নাবালিকা টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় পথের মধ্যে বছর ২৩-এর এক তরুণ তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। নাবালিকা কোনওমতে সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা খুলে বলে। বিষয়টি জানাজানি হতেই শতাধিক আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ তির, কুড়াল, হাসুয়া, ধনুক নিয়ে অভিযুক্ত তরুণের বাড়ি ঘেরাও করে ওই তরুণকে বেধরক মারধর করে। এমনকি তার পরিবারের কাছে নাকি ২০ লক্ষ টাকা দাবিও করা হয়।
এরপরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বংশীহারী থানার আইসি অসীম গোঁপ, হরিরামপুর থানার আইসি অভিষেক তালুকদার, কুশমন্ডি থানার আইসি তরুণ সাহা এবং গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিপাঞ্জন ভট্টাচার্য। মুহূর্তের মধ্যে কমব্যাট ফোর্স ও র্যাফে ছেয়ে যায় গোটা গ্রাম। কিন্তু এরপরে দফায় দফায় আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেও কোনও সূরাহা হয় না। ধৃত তরুণকে উদ্ধারের জন্য দীর্ঘ সাত ঘন্টা ধরে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলে পুলিশের। সকাল ন’টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত চলে এই আলোচনা। শেষে বিকেল ৪ টা ১০ মিনিটে অভিযুক্ত যুবক অসুস্থ হয়ে পুলিশের সামনে বারান্দায় ঢলে পড়ে। এরপর পুলিশ তড়িঘড়ি তার মাথায় জল দিয়ে পুলিশের গাড়িতেই তাকে নিয়ে রশিদপুর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।