Buniadpur | পাঠক শূন্য! সংকটে বুনিয়াদপুর পল্লি পাঠাগার

Buniadpur | পাঠক শূন্য! সংকটে বুনিয়াদপুর পল্লি পাঠাগার

শিক্ষা
Spread the love


বুনিয়াদপুর: বুনিয়াদপুর শহরে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পিরতলা এলাকায় রয়েছে একটি পাঠাগার। সেটি বুনিয়াদপুর পল্লিপাঠাগার নামেই পরিচিত। একটা সময় পাঠাগারটি পাঠকে গমগম করলেও এখন সেটি পাঠকশূন্য। খাঁ খাঁ করছে সেটি। পাঠকের অভাবে পাঠাগারটি বর্তমানে ধ্বংসের মুখে। করোনার সময় থেকে এমন অবস্থা বলে জানালেন স্থানীয়রা।

বুনিয়াদপুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক সরফরাজ রহমান বলেন, ‘আগে আমার অনেক ছাত্রছাত্রীদের লাইব্রেরিতে যেতে বলতাম। কিন্তু বর্তমানে সেটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। লাইব্রেরিটি অনেক পুরোনো। কর্তৃপক্ষের সেটিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া দরকার।’

আগে সপ্তাহে চারদিন পাঠাগার খোলা থাকলেও বেশ কয়েকদিন থেকে ছয় দিন খোলা থাকছে। একজন মহিলা গ্রন্থাগারিক ও একজন চতুর্থ শ্রেণির মহিলা কর্মচারী রয়েছে পাঠাগারটিতে। তাঁদের কথায় জানা গেল, তাঁরাও এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।

এছাড়াও দোতলা ভবন বিশিষ্ট ওই পাঠাগারটি ধুলোয় ভরে গিয়েছে। পরিষ্কারের কোনও বালাই নেই। বিল্ডিংয়ের একাধিক জায়গায় দেওয়াল ফেটে গিয়েছে। শৌচাগারের অবস্থা বেহাল। পাঠাগারের আলমারির তাকে থরে থরে সাজানো রয়েছে বই। সেগুলিতেও পাঠকদের হাত না পড়ায় ধুলোর আস্তরণ পড়ে গিয়েছে।

শহরের বাসিন্দা সোমেশ মণ্ডল বলেন, ‘আগে নিয়মিত লাইব্রেরিতে যেতাম। কিন্তু করোনার সময় থেকে না যাওয়ার অভ্যাস নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে মাস তিনেক আগে গিয়ে দেখি লাইব্রেরির দরজা বন্ধ।’

এবিষয়ে পাঠাগারের সভাপতি গোবিন্দ তালুকদারের বক্তব্য, ‘মোবাইল ও ইন্টারনেটের বাড়বাড়ন্তের ফলে পাঠকসংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা মোবাইলের প্রতি এতটাই আসক্ত যে তারা পাঠাগারে এসে বই পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমরা পাঠাগারটির সংস্কার সহ ঢেলে সাজানোর জন্য ডিএলও-এর কাছে প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *