বিক্রম রায়, কোচবিহার: মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মণের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোড়।
মাথাভাঙার ঘোকসাডাঙা রেল স্টেশনে এদিন দুপুরে বিধায়ক সুশীল বর্মণ টিকিট কাটতে গিয়েছিলেন। সেসময় স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি তাঁকে দেখে বিক্ষোভ স্লোগানিং শুরু করেন বলে অভিযোগ। ট্রেনের টিকিট কেটে ফেরার পথে বিধায়ক গাড়িতে উঠলেই বিক্ষোভ আরও বাড়ে বলে অভিযোগ। বিধায়কের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ চলে। বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বলেও অভিযোগ। বিধায়ক সুশীল বর্মণের গাড়ির চালককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিধায়কের গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও বিক্ষোভকারীদের ঘেরাটোপ থেকে বিধায়ককে মুক্ত করে নিরাপত্তারক্ষীরা বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন।

বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মণের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস এই হামলা চালিয়েছে। ২৬ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল হারবে। সেজন্যই এই হামলা চালাতে শুরু করেছে তৃণমূল। ঘটনার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিধায়ক সুশীল বর্মণ। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। মাথাভাঙার তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই যুক্ত নয়। বিধায়ক সেখানে কেন গিয়েছিলেন, তাও জানা নেই। তিনি আরও জানান, বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা বিজেপিশাসিক রাজ্যে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন। বাংলায় কথা বলা হচ্ছে বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা কেন হচ্ছে? বিজেপি বিধায়ককে ঘিরে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু বিধায়ক তেমন কোনও কথাই বলতে চাননি বলে অভিযোগ। তখনই বিক্ষোভ আরও বেড়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। এদিনের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোড়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন