Birthright citizenship | ২০ ফেব্রুয়ারির পর বাতিল ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার’! সময়ের আগেই সন্তানের জন্ম দিতে হুড়োহুড়ি আমেরিকান-ভারতীয়দের

Birthright citizenship | ২০ ফেব্রুয়ারির পর বাতিল ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার’! সময়ের আগেই সন্তানের জন্ম দিতে হুড়োহুড়ি আমেরিকান-ভারতীয়দের

শিক্ষা
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আমেরিকায় বসবাসকারী সন্তানসম্ভবা ভারতীয় মহিলারা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। গর্ভাবস্থার ৮ থেকে ৯ মাসের মাথাতেই অনেকে সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন। কিন্তু কেন? এর নেপথ্যে রয়েছে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের নতুন অভিবাসন নীতি(immigration coverage)-র দরুন ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার’(Birthright citizenship) নিয়মের বাতিলের ঘোষণা।

প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পরেই যেসব কার্যনির্বাহী আদেশগুলিতে সাক্ষর করেছেন ট্রাম্প, তাঁর মধ্যে এই ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার’ নিয়ম বাতিল অন্যতম। আর এই কারণেই তাঁর বেঁধে দেওয়া ২০ ফেব্রুয়ারির সময়সীমার মধ্যেই সন্তানের জন্ম দিতে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে অভিবাসী দম্পতিদের মধ্যে।

উল্লেখ্য, আমেরিকায় অস্থায়ী ভিসাতে কাজ করেন বহু অভিবাসী। এতদিন নিয়ম ছিল, এই অভিবাসীদের সন্তানেরা যদি ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার’-এ আমেরিকার নাগরিকত্ব পায় তবে সেই সন্তানদের বয়স ২১ বছর হলে মার্কিন নাগরিকত্ব পেতেন তাঁদের বাবা-মায়েরাও। কিন্তু ট্রাম্পের জারি করা এই নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, যেসব দম্পতির একজনেরও গ্রিনকার্ড নেই ২০ ফেব্রুয়ারির পরে তাঁদের সন্তান জন্মগ্রহন করলে সেই সন্তানের আর জুটবে না আমেরিকার নাগরিকত্ব।

এই প্রসঙ্গে নিউ জার্সিতে এক ম্যাটার্নিটি ক্লিনিকে কর্মরত ডাঃ এসডি রামা জানিয়েছেন, বহু দম্পতিই সন্তান প্রসবের নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই সন্তানের জন্ম দেওয়ার অনুরোধ নিয়ে আসছেন তাঁর কাছে। তিনি বলেন, ‘একজন মহিলা যিনি ৭ মাসের গর্ভবতী,যার সন্তান জন্মের সময় নির্দিষ্ট করা রয়েছে মার্চ মাসে,তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে এসেছেন তাঁদের সন্তানের অকাল প্রসবের জন্য।’

এইসব ঘটনার পেছনের অন্যতম কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে, ট্রাম্পের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ২০ ফেব্রুয়ারির পর কোনও অভিবাসীর সন্তান জন্মালে তাঁর ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার’ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা। এই নতুন নীতির প্রয়োগের ফলে মার্কিন মুলুকে অস্থায়ী ভিসাতে থাকা লক্ষ লক্ষ ভারতীয়র প্রভাবিত হওয়ার একটি চরম সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *