মোস্তাক মোরশেদ হোসেন, বীরপাড়া : মাদারিহাট-বীরপাড়া(Birpara) ব্লকে পদ নিয়ে ঘাসফুলে ক্ষোভ বাড়ছে। মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের ১০টি অঞ্চল কমিটি ভেঙে ব্লক সভাপতি বিশাল গুরুং নতুন ১৩টি অঞ্চল করেছেন। বীরপাড়া (১ নম্বর) উত্তরের সভাপতি ও চেয়ারম্যান যথাক্রমে রাজু শর্মা ও দিবস ছেত্রী হয়েছেন। দক্ষিণের সভাপতি অঙ্কিত গোয়েল, চেয়ারম্যান চম্পা সরকার। শনিবার সন্ধ্যায় বীরপাড়ায়(Birpara) পার্টি অফিসে তাঁদের জন্য দল সংবর্ধনা সভা করে। তবে দিবস সেই সভায় যাননি। একই সময়ে বীরপাড়ায় হালে পানি না পাওয়া এক নেতার বাড়িতে কয়েকজন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা গোপন বৈঠক করেন। সংবর্ধনা সভায় না গিয়ে ওই বৈঠকে দিবস অংশ নেন। সংবর্ধনা সভায় অনুপস্থিতির কথা স্বীকার করলেও সংবাদমাধ্যমে মন্তব্যে দিবস নারাজ। তবে তাঁর অনুগামীরা বলছেন, চেয়ারম্যানের পদে ‘অপ্রসন্ন’ দিবস। সম্প্রতি তৃণমূলের পদ হারানো এক নেতা রবিবার বীরপাড়ায় গোপন বৈঠক শেষে বলেন, ‘মুখ দেখে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রয়োজনে বিকল্প রাস্তা নেব।’
মাদারিহাটের বিধায়ক জয়প্রকাশ টোপ্পোকে সরিয়ে এবার বিশালকে ব্লক সভাপতি করা হয়েছে। এরপর ব্লক ও অঞ্চল কমিটিগুলিতে তিনি ব্যাপক রদবদল করেছেন। এর জেরে দলের অন্দরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবড়াইকের বিরোধী লবির এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা কলকাঠি নেড়ে মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকে তৃণমূল নেতাদের একাংশকে কোণঠাসা করছেন বলে প্রকাশ অনুগামীদের অভিযোগ। ৬ সেপ্টেম্বর বিশাল ব্লক কমিটি পুনর্গঠন করেন। এরপর ক্ষোভ ছড়ায়। ওই কমিটিতে ১৩ জন সহ সভাপতি, ১২ জন সাধারণ সম্পাদক ও ১৭ জন সম্পাদক ছিলেন। ১৬ সেপ্টেম্বর পদাধিকারীর সংখ্যা বাড়িয়ে সঞ্জয় বসুকে বিশাল সহ সভাপতি করেন। অলোক মৈত্র, রশিদুল আলম সহ আরও পাঁচজনকে সাধারণ সম্পাদক ও দুজনকে সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়।
তবে এই ‘সান্ত্বনা পুরস্কারে’ রশিদুলরা অখুশি। সদ্যপ্রাপ্ত পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে রশিদুল ও অলোক সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। রবিবার অলোক বলেন, ‘বয়সজনিত কারণে পারিবারিক সমস্যায় আমার পক্ষে ওই পদে থাকা সম্ভব নয়।’ একই বক্তব্য রশিদুলেরও।
৬ সেপ্টেম্বর বীরপাড়ার সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হান্টাপাড়ার উজ্জ্বল লামাকে অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে ব্লক কমিটির সম্পাদক করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় ওই দুজনকে বিশাল ব্লক সহ সভাপতি করেছেন। আবার এদিন দীপক শা-কে সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ন্ত্রণে এই পদক্ষেপ বলে শাসকদলে জল্পনা শুরু হয়েছে। সঞ্জয়ের মন্তব্য, ‘ক্ষোভের বিষয়ে জানি না। দলের ব্লক সভাপতি বিশাল ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’ এবিষয়ে বিশালকে ফোন করা হলে রিসিভ না করায় মন্তব্য মেলেনি।