Bihar flood | নেপালের জলে প্লাবিত বিহারের একাধিক গ্রাম, যৌথভাবে উদ্ধারকার্য শুরু করেছে এসএসবি-পুলিশ

Bihar flood | নেপালের জলে প্লাবিত বিহারের একাধিক গ্রাম, যৌথভাবে উদ্ধারকার্য শুরু করেছে এসএসবি-পুলিশ

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


কিশনগঞ্জ: শনিবার থেকে লাগাতার প্রবল বর্ষণের কারণে বন্যা পরিস্থিতি  ইন্দো-নেপাল সীমান্তবর্তী টেরাগছ, দীঘলব্যাংক, গলগলিয়া, ঠাকুরগঞ্জ এলাকায়। মূলত নেপালের মেচি, কনকই, রটুয়া, নুনা, বকরা নদীর জলস্ফীতির কারণেই এই পরিস্থিতি।জেলার নেপাল সীমান্তের দিঘলব্যাংক ব্লকের সিঙ্গিমারি, সাতকৌয়া, লক্ষীপুর, পাঠরঘাটি, লোহাগাড়া ও অন্যান্য গ্রামে কনকই, বুড়ি কনকই, মেচি নদীর জল ঢোকা শুরু হয়েছে। তাই গ্রামবাসীদের কাছে অনুরোধ শীঘ্রই নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে। ক্রমাগত নদী গুলির জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসন এই পরিস্থিতির উপর বিশেষভাবে নজর রাখছে। এসডিআরএফ টিম উদ্ধারকার্যের জন্য পৌঁছে গেছে যেখানে যেখানে ক্ষতির বেশী সম্ভাবনা আছে।

বিহার প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিমান্তবর্তী দীঘলব্যাংক ব্লকের সিঙ্গিমারি, লোহাগাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ গ্রামগুলো চলে গিয়েছে জলের তলায়। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে উপদ্রুত এলাকায় যৌথভাবে উদ্ধারকার্য শুরু করেছে পুলিশ ও এসএসবি। এই এলাকাগুলি থেকে প্রচুর মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ জায়গায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে গ্রামবাসীদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অপরদিকে গলগলিয়া এলাকার বিভিন্ন গ্রামে মেচি নদীর জলস্ফীতির ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গলগলিয়ার বাসিন্দা বিবেক চৌধুরী জানিয়েছেন, ভোর তিনটে নাগাদ গ্রামগুলিতে মেচি নদীর জল ঢোকা শুরু হয়েছে। অধিকাংশ বন্যা কবলিত গ্রামের লোকজন পরিবার ও  গবাদিপশু নিয়ে গলগলিয়া রেল স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যথেষ্ট। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর নেই।

এই বন্যা পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী এলাকায় গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। জেলাসদর কিশনগঞ্জ থেকে এসডিআরএফ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা সেলের আধিকারিক ও কর্মীরা বন্যা কবলিত এলাকায় রওয়ানা হয়েছে। মহকুমা শাসক অনিকেত কুমার জানান, জেলা প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য সবরকম ভাবে প্রস্তুত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *