উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) আইপিএল বিজয় উদযাপনের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। জখম হয়েছেন ৪৭ জন। বুধবার বিকেলের এই ঘটনায় রীতিমতো চাপের মুখে বেঙ্গালুরুর কংগ্রেস সরকার। ঘরে বাইরে সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনার সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্তাকে বরখাস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সাংবাদিকদের এই কথা জানিয়েছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন ফ্র্যানচাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (KCCA) কর্তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হবে। অভিযোগ, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির জন্য আরও কয়েক দিন সময় দেওয়ার জন্য ক্রিকেট সংস্থাকে পুলিশ পরামর্শ দিলেও তা অস্বীকার করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের সিআইডি এই ঘটনার তদন্তভার নেবে।
১৮ বছরের অপেক্ষার পর আরসিবির প্রথম আইপিএল জয় রাজ্যের ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে বিপুল উন্মাদনার সৃষ্টি করেছিল। গতকাল সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ঢুকতে মানুষ মরিয়া হয়ে উঠেছিল। সিদ্দারামাইয়া গতকাল নিজেই বলেছিলেন ৩৫ হাজার লোক ধরে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে, সেখানে ২ থেকে ৩ লক্ষ লোক সমাগম হয়েছিল। যদিও সরকারেরই একটি সূত্রের দাবি, প্রায় ৮ লক্ষ লোকের সমাগম হয়। গোটা অব্যবস্থার জন্য তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। মুখ বাঁচাতে রাজ্য সরকার দাবি করে, শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
আরসিবির তরফে এক্স হ্যান্ডলে ৪ জুন পোস্ট করে জানানো হয়, ‘বিজয় শোভাযাত্রা’ বিকেল ৫টায় বিধান সৌধ থেকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের উদ্দেশে শুরু হবে, তারপরে স্টেডিয়ামের ভিতরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে। পোস্টটিতে বিনামূল্যে পাসের জন্য একটি লিঙ্কও ছিল, যেখানে ‘সীমিত প্রবেশ’ ঘোষণা করা হয়েছিল এবং ভক্তদের পুলিশের নির্দেশিকা মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছিল।
বলা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী, উপ মুখ্যমন্ত্রীর এবং অন্যান্য নেতাদের উপস্থিতির কারণে বিধান সৌধে সংবর্ধনার সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই শক্তিশালী ছিল। কিন্তু বিপরীত দিকে স্টেডিয়ামে পুলিশের উপস্থিতি ছিল অনেকটাই কম। যার ফলে ভিড় সামলানোটা কার্যত দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায় পুলিশের কাছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ কমিশনার সহ একঝাঁক পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপকে অনেকেই কর্ণাটক সরকারের মুখরক্ষার চেষ্টা হিসেবেই দেখছে।