উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ভোট পরবর্তী হিংসায় কলকাতায় খুন হন অভিজিৎ সরকার নামে এক বিজেপি কর্মী। প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করেছিল নারকেলডাঙ্গা থানার পুলিশ। সেই বছর অগাস্টে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই। তার প্রায় চার বছর পর এবার চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। চার্জশিটে বেলেঘাটা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পরেশ পাল, দুই কাউন্সিলার স্বপন সমাদ্দার (৫৮ নম্বর ওয়ার্ড) এবং পাপিয়া ঘোষ (৩০ নম্বর ওয়ার্ড)-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ৩০ জুন শিয়ালদার একটি আদালতে জমা দেওয়া এই চার্জশিটে কেন্দ্রীয় সংস্থা আরও ১৮ জনের নাম উল্লেখ করেছে। সিবিআই কর্তারা জানিয়েছেন, তদন্ত চলাকালীন তাঁরা একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী এবং মৃতের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এরপরই চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। বিজেপি এই চার্জশিটকে স্বাগত জানিয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূল বলেছে, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২ মে কাঁকুড়গাছিতে ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে তোপ দেগে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘কেবল বর্বররাই এই ধরনের সহিংসতায় জড়িয়ে পড়তে পারে।’ তাঁকে পালটা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র এবং প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চার্জশিট। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে, বিজেপির চাপে সিবিআই এটা পেশ করেছে।’ অন্যদিকে, মৃতের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, ‘এটা আংশিক জয়। যতক্ষণ না সমস্ত দোষী শাস্তি পাচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা শান্তি পাবেন না।’