উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সেনাপ্রধানের হুংকারের পরই সুরবদল ইউনূস (Muhammad Yunus) প্রশাসনের। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘হিউম্যান করিডর’ গঠনের কঠোর বিরোধীতা করেছিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। এই করিডরকে তিনি ‘রক্তাক্ত করিডর’ বলেও উল্লেখ করেন। সেনবাহিনী যে কোও ভাবেই চট্টগ্রাম থেকে রাখাইন প্রদেশ হয়ে মায়ানমার পর্যন্ত এই মানবিক করিডর মানবে না তা স্পষ্ট করেন ওয়াকার। এরপরই কার্যত ইউ টার্ন নিতে হয় ইউনূস প্রশাসনকে। ইউনূস কর্তৃক নিযুক্ত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, এদিন স্পষ্ট করে বলেন, ‘যে সরকার কোনও পক্ষের সঙ্গে করিডর নিয়ে আলোচনা করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।’ তাঁর দাবি, ‘জাতিসংঘ কেবল জিজ্ঞাসা করেছিল যে বাংলাদেশ কি সীমান্তের কাছে মানবিক সাহায্য পাঠাতে সহায়তা করতে পারে, যা জাতিসংঘের অংশীদারদের দিয়ে রাখাইন রাজ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে। আমরা বলেছি আমরা বিবেচনা করতে পারি।’
এর আগেই বাংলাদেশের (Bangladesh)প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও ‘হিউম্যান করিডর’ নিয়ে নিজে থেকেই বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়েছে। জানানো হয়েছে করিডর নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি। যদি করিডর দেওয়া হয়, তাহলে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই দেওয়া হবে। যদিও বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন দিন কুড়ি আগে জানিয়েছেন, সরকার করিডর দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই বক্তব্যকেও কার্যত নাকচ করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন।
উল্লেখ্য, সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামান মনে করেন. রাষ্ট্রসংঘের বকলমে হিউম্যান করিডর দেওায়র প্রস্তাব প্রধানত আমেরিকার। তার মধ্যমেই এই অঞ্চলে ভূরাজনৈতিক দিক থেকে সুবিধেজনক অবস্থানে থাকতে চাইছে আমেরিকা। সেনাবাহিনী মনে করছে যে এই করিডরটি তার সার্বভৌমত্বের উপর বাধা সৃষ্টি করবে এবং ভূ-কৌশলগত লাভের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটিতে চাপ দিচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের ধারনা, নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় থাকতে মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে ইউনূসের সরকার। তবে ওয়াকারের পরিষ্কার বার্তা, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনও সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর কোনও কার্যকলাপে জড়িত হবে না। কাউকে তা করতে দেওয়া হবে না।’