উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলাদেশের নাগরিকের ৬৬০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ। পাশাপাশি ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টা হওয়াটাও অবৈধ বলে দাবি করেছেন হাসিনা-পুত্র।
গত দুদিন ধরে বাংলাদেশ জুড়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, পদত্যাগ করবেন ইউনূস। ঘনিষ্টমহলে ইউনূস জানিয়েছেন, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদে থাকবেন না। এই জল্পনার মাঝেই ইউনূসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করলেন হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ। সজীবের দাবির পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশজুড়ে। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস।
সমাজমাধ্যমে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব লেখেন, ইউনূসের সরকার অবৈধ। সংবিধান মেনে নিয়োগ হয়নি ইউনূসের। আর তিনিই বর্তমান সরকারের দুর্নীতির প্রধান মাথা ও প্রশ্রয়দাতা। মাত্র ৯ মাসে তিনি একাধিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। তাঁর দাবি, মহম্মদ ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন ও অর্থপাচার সহ একাধিক মামলা অনৈতিকভাবে খারিজ করিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনও দুর্নীতির মামলা নেই বাংলাদেশের আদালতে।
তিনি আরও লিখেছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণের প্রাপ্য গ্রামীণ ব্যাংকের ৬৬৬ কোটি টাকা কর মকুব করিয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের সব মুনাফার উপর আগামী ৫ বছরের জন্য অনৈতিক কর মকুব করে সুবিধা নিয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাঙ্কে থাকা সরকারের মালিকানা শেয়ারের পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে এনেছেন। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তা ফান্ডের ৭০০ কোটি টাকা সিঙ্গল সোর্স সিলেকশন (Single Supply Choice) এর মাধ্যমে গ্রামীণ ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করেছেন ইউনূস। নিজের এনজিও-র কর্মী, আত্মীয়স্বজন আর এলাকার মানুষদের নিয়োগ করেছেন।