উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: নৈরাজ্যের বাংলাদেশে (Bangladesh) কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অসম্মান। বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত তাঁর পৈতৃক ভিটে ‘কাছারিবাড়ি’তে হামলা চালাল উন্মত্ত জনতা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারত ও বাংলাদেশে। সেই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। এদিকে, এই হামলার পরই ঘটনাস্থলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত ৮ জুন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেতে ভাঙচুর চালানো হয়। এক পর্যটক পরিবার কাছারিবাড়ি দর্শনে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে বাইকের পার্কিং ফি ওই পর্যটক পরিবারের সঙ্গে মিউজিয়ামের কর্মীদের বচসা বাধে। জানা গিয়েছে, মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের জন্য টাকা দেওয়ার পরও রসিদ দেওয়া হয়নি এক পর্যটককে। এরপর মূল গেটে থাকা রসিদ দেখতে চাইলে তা ওই পর্যটক দেখাতে না পারায় শুরু হাতাহাতি। এমনকি বিবাদের কারণে ওই পর্যটককে অফিসঘরে আটকে রেখে অত্যাচার চালানো হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় জনতা।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা মঙ্গলবার প্রথমে মানববন্ধন করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এরপরই একদল উন্মত্ত জনতা কাছারিবাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। ওই ঐতিহ্যবাহী স্থানের বিভিন্ন অংশে হামলা চালানো হয়। জানালার কাচ, দরজা এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এমনকি ওই ঐতিহ্যবাহী স্থানের এক ডিরেক্টরকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রীর ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই একটি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আর্কিওলজি বিভাগ। সেই সঙ্গে আপাতত দর্শকদের জন্য রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত এই কাছারিবাড়ি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই হামলার ঘটনায় বুধবার ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের কাছারিবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈত্রিক বাড়ি। এই বাড়িতেই রবীন্দ্রনাথের পরিবার তাঁদের সম্পত্তির তত্ত্বাবধান করত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের বেশ কিছুটা সময় এই বাড়িতে কাটিয়েছেন। পরবর্তীতে এই বাড়িটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করে মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়।