Bangladesh | ছক্কা মারায় বাংলাদেশি ব্যাটারকে হেনস্তা! হেলমেট ধরে মুন্ডু ঝাঁকালেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার   

Bangladesh | ছক্কা মারায় বাংলাদেশি ব্যাটারকে হেনস্তা! হেলমেট ধরে মুন্ডু ঝাঁকালেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার   

শিক্ষা
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ছক্কা মারায় ব্যাটারকে হেনস্তা করলেন বোলার। বুধবার এমনই ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের মিরপুরে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার শেপো এনতুলির বলে ছক্কা হাঁকিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটার রিপন মণ্ডল। প্রথম বলে ছক্কা খেয়ে রিপনকে শারীরিক ভাবে হেনস্তা করেন এনতুলি।

ক্রিকেট মাঠে দু’দলের খেলোয়াড়দের বিতণ্ডা নতুন নয়। বিভিন্ন কারণে অনেক সময় মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না ক্রিকেটারেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার শেপো এনতুলি রেগে গেলেন প্রথম বলে ছক্কা খেয়ে। রাগের চোটে বাংলাদেশের ব্যাটার রিপন মণ্ডলকে শারীরিক ভাবে হেনস্থাও করলেন। রিপন আর মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। তিনিও পাল্টা ধাক্কা দেন প্রোটিয়া ক্রিকেটারকে। শেষে দুই আম্পায়ারের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এনতুলির এমন আচরণে নিন্দার ঝড় উঠেছে ক্রিকেট মহলে।

চার দিনের বেসরকারি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে বেশিরভাগ উঠতি ক্রিকেটার। মঙ্গলবার থেকে মিরপুরে শুরু হয়েছে এমার্জিং (উঠতি) ক্রিকেটারদের টেস্ট। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক শাহদাত হোসেন। প্রথম দিন সুষ্ঠু ভাবেই খেলা শেষ হয়। আজ অর্থাৎ বুধবার বাংলাদেশের ইনিংসের ১০৪তম ওভারে ঘটে যায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বোলার ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এনতুলি। ওভারের প্রথম বলেই তাঁকে স্টেপ আউট করে ছক্কা মারেন বাংলাদেশের ন’নম্বর ব্যাটার রিপন। একজন জোরে বোলার তাঁকে ছক্কা মারবেন, তা সম্ভবত ভাবতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ২৯ বছরের অফ স্পিনার। ছক্কা খেয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এনতুলি। রাগে এগিয়ে যান রিপনের দিকে। প্রথমে ধাক্কা দেন বাংলাদেশের ব্যাটারকে। রিপন নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু বার বার রিপনের কাছে তেড়ে যাওয়ায় মেজাজ রানায় রিপনও। শুরু হয় দু’জনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে আঁচ করেই ছুটে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকার অন্য ক্রিকেটারেরা। এগিয়ে আসেন মাঠের দুই আম্পায়ারও। তার মধ্যেই হঠাৎ করে হেলমেট ধরে এনতুলি রিপনের মুন্ডু ঝাঁকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তিনিও পাল্টা ধাক্কা দেন প্রোটিয়া ক্রিকেটারকে। হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম হয়। এর পর আম্পায়ার এবং অন্য ক্রিকেটারেরা দু’জনকেই দূরে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

উঠতি ক্রিকেটারদের এমন আচরণে বিস্মিত এবং ক্ষুব্ধ ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ। তিনি বলেছেন, ‘‘আম্পায়ারদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেব।’’ ম্যাচটি প্রথম শ্রেণির মর্যাদা না পেলেও বিতণ্ডায় জড়ানো দুই ক্রিকেটারই শাস্তি পেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *