স্বপনকুমার চক্রবর্তী, বামনগোলা: বামনগোলা ব্লকের (Bamangola) গোবিন্দপুর-মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গাপ্রসাদ কলোনি থেকে আইগমতারামুখী রাস্তার একাংশের হাল বেহাল। কোথাও কংক্রিটের রাস্তার তলার মাটি ধসছে, আবার কোথাও রাস্তার নীচের অংশ ফাঁকা হয়ে বিপদ বাড়ছে। গত দু-তিন বছর ধরে একই সমস্যা। সমাধান হয়নি। এর জেরে প্রতিবছর বাসিন্দাদের ভোগান্তি রয়েই যাচ্ছে। এবছর বর্ষা চলে এলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে চলতি বছরও দুর্ভোগ সইতে হবে।
গঙ্গাপ্রসাদ কলোনির রাজ্য সড়ক থেকে ২০০ মিটার এগোলে রাস্তার যা অবস্থা, তাতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনও সময়ে। বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সুনীল বর্মন বলেন, ‘আমাকে কেউ সমস্যা সম্পর্কে জানায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে।’
প্রতিদিন গঙ্গাপ্রসাদ কলোনি থেকে আইগমতারামুখী রাস্তা দিয়ে কয়েক হাজার বাসিন্দা চলাচল করেন। এঁদের অধিকাংশ এলাকার গ্রামগুলির বাসিন্দা কৃষিজীবী মানুষ। এছাড়া পাকোয়াহাই ডিগ্রি কলেজের পড়ুয়ারা এই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করেন। যে কোনও সময়ে ভারী যানবাহনের চাপে ভেঙে পড়তে পারে কংক্রিটের ওই রাস্তার বেহাল অংশ। সরকারি ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে রাস্তাটি পরিদর্শন করিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
রাজু বাড়ুই নামে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘গঙ্গাপ্রসাদ কলোনি থেকে আইগমতারার দিকে কিছুদূর পর্যন্ত এগোলে দেখা যাবে, কংক্রিটের রাস্তার নীচের একাংশের মাটি ধসতে শুরু করেছে। হঠাৎ রাস্তাটি ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শীঘ্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ কমলেশ সরকার নামে এক পথচারী বলেন, ‘বিপজ্জনকভাবে কংক্রিটের রাস্তার নীচের মাটি সরে যাচ্ছে। বৃষ্টির জলের চাপে কংক্রিটের রাস্তার নীচের মাটি ধসেছে নাকি অন্য কোনও কারণে এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার। বিপদ বাড়বে এখনই ব্যবস্থা না নিলে।’ স্থানীয় গৃহবধূ মলিনা রায় বলেন, ‘মাটি ধসতে ধসতে রাস্তাটি শূন্যে ঝুলে পড়তে পারে। এখনই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা না নিলে এবছর বর্ষাতেও ফের ভোগান্তি ও বিপদ বাড়বে।’ এপর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে প্রশাসন উদ্যোগ না নেওয়ায় চলতি বর্ষায় রাস্তা সংস্কারের কাজ হবে কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। রাস্তাটি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ভারী বৃষ্টি শুরু হলে।
