স্বপনকুমার চক্রবর্তী, বামনগোলা: আবাস যোজনার ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। অথচ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। ওই নেতা ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন উপভোক্তারা। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে বামনগোলা ব্লকের গোবিন্দপুর-মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে হরিপুর এলাকায়।
প্রসঙ্গত, হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা সুদেব রায় বাংলা আবাস যোজনার প্রকল্পের এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার মধ্যে প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা পেয়েছেন। সেই মতো ঘর নির্মাণের প্রাথমিক কাজকর্ম শুরুও করেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ,স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ রায় তাঁর লোকজন নিয়ে বাধা দিয়েছেন সেই ঘর নির্মাণে। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন বামনগোলা বিডিও’র কাছে। এছাড়াও জেলা শাসক, পুলিশ প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছেন সুদেব।
বাংলা আবাস যোজনার ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বামনগোলার বিডিও মনোজিৎ রায়। তিনি বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সুদেব লিখিতভাবে বিডিও, জেলা শাসক এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘গ্রামীণ রাস্তা সংলগ্ন আমার নিজস্ব জমি রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজ ভূমি, নিজ গৃহ প্রকল্পে ঘর নির্মাণের জন্য পাট্টা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বাংলা আবাস যোজনার প্রকল্পে টাকা পেয়েছি। এরপর ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিই। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ রায় তাঁর লোকজন নিয়ে ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণ শুরু করতে পারছি না।’
যাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ, সেই পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ রায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘আমি কারও ঘর নির্মাণে বাধা দিইনি। এলাকার লোকজনের একাংশের অভিযোগ, হরিপুরের বাসিন্দা সুদেব রায় যে জায়গায় ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন, সেখানে শিবপুজো হয়। তাই এলাকার কিছু মানুষজন তঁাকে বাধা দিয়েছেন বলে শুনেছি। আমাকে মিথ্যে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে।’
এদিকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।