বালুরঘাট: শিশু চোর সন্দেহে এক মহিলাকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল অবিভাবিকাদের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট শহর লাগোয়া মঙ্গলপুরে জাতীয় সড়কের পাশে থাকা একটি আশ্রমে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে আশ্রমে ঢুকে খুদে পড়ুয়াদের হাতে চকোলেট দিয়ে হাত ধরে টানাটানি করছিলেন এক মহিলা। বিষয়টি নজরে আসতেই অবিভাবিকারা শিশুচোর সন্দেহে মহিলাকে পাকড়াও করে টানতে টানতে আশ্রমের বাইরে নিয়ে আসেন।এরপর বেঁধে মহিলারা মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বালুরঘাট থানার পুলিশ উন্মত্ত জনতার হাত থেকে মহিলাকে উদ্ধার করে প্রথমে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় বালুরঘাট হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা করিয়ে আটক করে মহিলাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে মহিলার নাম রিতা প্রামাণিক, বাড়ি বালুরঘাটের উত্তর চকভবানী এলাকায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ধৃত মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন।
এদিকে বিক্ষোভকারী এক অবিভাবিকা বলেন, ‘আশ্রম থেকে কোনও বাচ্চা হারায়নি। কিন্তু ওই মহিলা প্রতিদিন নাকি এই চত্বরে ঢুকছে। আজও ঢুকে বাচ্চাদের চকোলেটের লোভ দেখিয়ে, হাত ধরে টানাটানি করছিল। তাই শিশুচোর বলেই সন্দেহ হয়েছে আমাদের। আশ্রমের কর্মীরা যদি এমনভাবে বহিরাগতদের চত্বরে ঢোকা নিষিদ্ধ করতে না পারে, তাহলে আমরা এখানে বাচ্চা রাখব না।’
আশ্রমের কর্মী মানিক কুজুর বলেন, ‘আজ পর্যন্ত এই আশ্রম থেকে কোনও বাচ্চা নিখোঁজ হয়নি। কিন্তু আজ ওই মহিলাকে চত্বরে ঘোরাঘুরি করতে দেখে অভিভাবকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আমরা ওই মহিলাকে সেই সময়ই চত্বর থেকে বের করে দিয়েছি। কিন্তু অভিভাবকরাই তাকে বেঁধে রেখে মারধর করেছে বলে শুনেছি।’