চেন্নাই: মহাদেশীয় ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের টক্কর। যদিও সেই এশিয়া কাপকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি। উলটে এশিয়া কাপের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বীন। বাংলাদেশের মতো দলগুলির ক্রিকেটীয় দক্ষতা, ক্ষমতা নিয়ে কটাক্ষের সুর। দাবি, ভারতের বিরুদ্ধে কিছু করার ক্ষমতা নেই বাংলাদেশের মতো দলগুলির।
মঙ্গলবার আফগানিস্তান-হংকং ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্টের শুরু হয়েছে। বুধবার ভারত তাদের অভিযান শুরু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো টেস্ট খেলিয়ে দেশও রয়েছে মহাদেশীয় ক্রিকেট দ্বৈরথে। যদিও অশ্বীনের চোখে গুরুত্বহীন টুর্নামেন্ট।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে টুর্নামেন্ট নিয়ে অশ্বীনের চাঁছাছোলা পর্যবেক্ষণ, ‘বাংলাদেশ দলকে নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ, ওদের নিয়ে এখানে কথা বলার কিছু নেই। এসব দলের পক্ষে ভারতের বিরুদ্ধে আদৌ কি লড়াই করা সম্ভব?’
অশ্বীনের পরামর্শ এশিয়া কাপের বদলে অ্যাফ্রো-এশিয়া কাপ আয়োজন করলে লাভবান হবে ক্রিকেট। এরফলে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দল সেই প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে। টুর্নামেন্টের মান, গুরুত্ব অনেকাংশে বাড়বে। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট দেখার সুযোগ মিলবে। নাহলে এই মুহূর্তে এশিয়া কাপ যেভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তার সঙ্গে ভারতীয় ‘এ’ দলকে যুক্ত করা হোক। তাহলেও টুর্নামেন্টের আকর্ষণ বাড়বে কিছুটা হলেও।
সাম্প্রতিক-অতীতে আফগানিস্তান প্রভূত উন্নতি করেছে। বিশেষ করে সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে। উদ্বোধনী ম্যাচে মঙ্গলবার হংকংকে হারিয়ে দারুণভাবে শুরুও করেছে তারা। তবে ভারতের পাশে রশিদ খানের দলকে রাখতে নারাজ অশ্বীন। রাখঢাক না করেই সাফ কথা, সূর্যকুমার যাদব ব্রিগেডকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাতে পারবে না টিম আফগান।
আফগানিস্তানের বোলিং শক্তিকে সমীহ করছেন অশ্বীন। কিন্তু রশিদদের ব্যাটিং ক্ষমতার ওপর একেবারেই আস্থা নেই। ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ভারত যদি মেরেকেটে ১৭০-৮০ রানও করে, সেটাও তাড়া করা কার্যত অসম্ভব আফগানিস্তানের ব্যাটারদের পক্ষে। মজার কথা, ভারত হট ফেভারিট হলেও অশ্বীন চান জিতুক অন্য কোনও দেশ। তাহলেই একমাত্র কিছুটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে এশিয়ার ক্রিকেট যুদ্ধ।
ভারতকে হারানোর রাস্তাও বাতলে দিলেন। অশ্বীন বলেছেন, ‘ভারতকে ১৫৫ রানের মধ্যে আটকে রাখতে হবে। ভারত-বধের এটাই একমাত্র পথ। টি২০ ফর্ম্যাটে সবকিছুই ঘটতে পারে। যদিও আমার ধারণা, চলতি এশিয়া কাপে একপেশে দাপট দেখাবে ভারত।’